টাকার বান্ডিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে এফআর টাওয়ারের ভেতরে



শাহারিয়ার হাসান ও মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এফআর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস ও বিমান বাহিনী/ ফাইল ছবি

এফআর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস ও বিমান বাহিনী/ ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এফআর টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের ভেতরে টাকার বান্ডিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়া ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোরে ৪০ থেকে ৫০টি ল্যাপটপ ও নানা মূল্যবান জিনিসপত্র দেখতে পেয়েছেন ফায়ারের উদ্ধার কর্মীরা।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে টাকা, ল্যাপটপ ও এসব মূল্যবান জিনিসপত্র ভবনটিতে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিসের সম্পত্তি। আগুন লাগার পর এসব জিনিসের মায়া ত্যাগ করে প্রাণে বাঁচার আশায় এসব ফেলেই অফিস ত্যাগ করেছেন ভবনটির বিভিন্ন অফিসে কর্মরতরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ভবনটির ভেতরে উদ্ধার কাজে কর্মরত ফায়ার ফাইটার ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধ ভবনটির ৮, ৯ ও ১০ তলায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটির এই তিনটি তলাসহ ওপড়ের দিকে আরও বেশ কয়েকটি তলায় বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের একাউন্স, মার্কেটিং ও আইটি অফিস থাকতে পারে। সেসব অফিস আগুনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে থাকা টাকার বান্ডিল, ল্যাপটপ ও মূল্যবান জিনিসপত্র এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/29/1553855490292.jpg

এসব মালামাল ও জিনিসপত্র কিভাবে হস্তান্তর করা হবে- ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে এ আলোচনা করতে শোনা যায়। এই সময় তাদের বলতে শোনা যায়, ভবনের ভেতরে টাকার বান্ডিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ৪০ থেকে ৫০টি ল্যাপটপ আছে।

এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বলেন, ‘পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মিলে সম্পদগুলো ভবন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামকে বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের ভেতর অনেক মালামাল ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আমাদের কাছে ভবনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলে সংশ্লিষ্ট অফিসের মালিক ও ফ্ল্যাট মালিকদের সঙ্গে নিয়ে সার্চ অভিযান চালাব। পুলিশের ২২টি টিম ভবনের ২২টি ফ্লোরে কাজ করবে এই অভিযানে।’

তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট অফিসের মালিকই যেন নির্দিষ্ট অফিসে ঢুকতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। তাদের সঙ্গে নিয়ে মালামাল বুঝিয়ে দিয়ে ভবনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। মালামাল বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত ভবনটি ঘিরে রাখা হবে।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বনানীর ২২ তলা বিশিষ্ট এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। পরে এ আগুন ওপরে ও নিচে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, ভবনটির ৯তলায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্রের বিস্ফোরণ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

এ সময় ভবনটিতে আটকা পড়েন বহু মানুষ। বিশেষ করে ১১, ১২ ও ১৩ তলায় অবস্থানরতরা অতিরিক্ত ধোঁয়া ও অত্যধিক তাপের কারণে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছুটাছুটি করতে থাকেন। আটকে পড়া লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাচের জানালা ভেঙে দেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/29/1553855512562.jpg

সময় বাড়ার সাথে সাথে এই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। জীবন বাঁচাতে অনেকে ভবন থেকে লাফ দেন। এই সময় শ্রীলঙ্কান নাগরিক নিরোস লাফিয়ে পড়ে আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর বাইরে আরও পাঁচ জন লাফিয়ে পড়ে নিহত হন।

অনেককেই জানালার কাছে এসে হাত নাড়িয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দৃষ্টি করতে দেখা যায়, যা এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে আগুন নেভানোর কাজে দেখা যায় বিমান বাহিনীর সদস্যদের। পাঁচটি হেলিকপ্টার নিয়ে তারা হাতিরঝিল থেকে পানি নিয়ে ভবনটির আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও উদ্ধার কাজ চলে রাতভর। সন্ধ্যায় আগুন নেভানোর পর ভবনটির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ভবনটিতে কর্মরত একাধিক ব্যক্তির লাশ। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কয়েকজন। সব মিলিয়ে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন মোটি ২৫ জন।

   

ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর জানান, বিকেলে খবর পেয়ে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যালের পাশের রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আগে থেকেই ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির বাঁ পায়ের কিছু অংশ ছিল না। লাঠি দিয়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করতেন।

তিনি জানান, রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও মৃত্যু হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভিক্ষুক প্রকৃতির। ফকিরাপুল এলাকাতে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং ওই এলাকায় থাকতেন।

;

লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে দিঘিরহাট নামক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা একটি বালু বোঝাই ট্রাক একটি যাত্রীবাহী ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যান চালক সহ গুরুতর আহত হয় ৬ জন।

তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাইয়ুম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। বাকি ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে এবং হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মৃত আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিন ধুবনী এলাকায়।

ঘাতক ট্রাকটিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে সিংগীমারি ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।

হাতীবান্ধা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আরিফ জানান, সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে ছয়জনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।

;

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোর সুমন (১৬) মারা গেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সুমনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।

সুমন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩ মাস পূর্বে কাজের সন্ধানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গিয়েছিলেন সুমনসহ সীমান্তবর্তী ওই এলাকার ২৫-৩০ জন কিশোর। সেখানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে চিওড়া সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণে লেবার হিসেবে কাজ করছিলেন তারা।

রোজার ঈদের জন্য ছুটিতে সবাই বাড়ি চলে এলো আসেননি কিশোর সুমন ও জিলানী। ঈদের পরদিন ওই এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হন সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী খোকন মিয়া।

রংপুরে ৫ দিন চিকিৎসার পর সুমনের স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বিশেষায়িত একটি ক্লিনিকে রেফার্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্বজনরা টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা না করে শুক্রবার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমনকে। নিয়ে আসার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে শনিবার সকাল ১১টায় মারা যায় সুমন।

সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলে চিকিৎসক। সুমনের মাথা, ঘাড়ে ও দুই হাতে প্রচুর আঘাত রয়েছে। আইসিউতে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে, এত টাকা কোথা থেকে পাবো। এজন্য গতকাল ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম।

সুমনের বাবা আরও জানান, ঠিাকাদার খোকন তাকে চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপরে আর খোঁজ নেননি তিনি। আজ সকালে মৃত্যুর খবর জানালে দাফনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পরিবারের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর নিয়ে খোকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।

আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকালু (ডংগা) বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ছেলেটির চিকিৎসা করানো সামর্থ নেই তার বাবার। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ছেলের চিকিৎসা না করে বাড়ি নিয়ে আসেন। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সন্ধ্যায় সুমনের দাফন হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমাদের কেউ অবগত করেনি। তবে পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

;

পশু বিক্রির জন্য ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে ডিএনসিসি



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অস্থায়ীভাবে ৯টি হাট বসানোর পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্য হাটগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান করেছেন সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত কোন হাটের জন্য কারা দরপত্র জমা দিয়েছে সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির গাবতলী স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং, মোহাম্মদপুর বসিলা খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ও খিলক্ষেত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা।

সূত্র জানায়, পূর্বের মত এবারও কোরবানির পশুর হাট পাঁচ দিনের জন্য বসানো হচ্ছে। হাটগুলোতে ক্রেতারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কিনতে পারেন তার জন্য বিশেষব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ক্রেতারা হাট থেকে পশু কেনার পর মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েচে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে অস্থায়ীভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথ বসানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, দরপত্র অনুযায়ী ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা এক কোটি ৩৭ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা ছয় কোটি টাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা এক কোটি ৭৪ লাখ দু' হাজার ৭২৭ টাকা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং এক কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০ টাকা, মোহাম্মদপুর বসিলার খালি জায়গা দু' কোটি ২০ লাখ টাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও খিলেখত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকায় পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ডিএনসিসির এই সম্পত্তি কর্মকর্তা জানান, ঈদুল আজহার পশুর হাট শুরুর আগে নানা ধরনের প্রস্তুতি থাকে। সকল প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই হাটের তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান জানানো হয়েছে। একই সাথে পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

;