বাংলাদেশ মিশনগুলোতে ভিসা স্টিকারের সংকট চরমে
ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে ভিসার স্টিকারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে আসতে চাওয়া বিদেশিদের ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে কিন্তু ভিসা ইস্যু করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে চীন সিঙ্গাপুর, সৌদি আরবের মিশনগুলোতে ভিসার স্টিকারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এ বৈঠকে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা জানান, আসলে দূতাবাসগুলোর সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে ভিসার স্টিকারের সংকট দেখা দিয়েছে।
ভিসা স্টিকার সরবরাহ করে থাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর ভিসা দেওয়া হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিনে মিশনগুলো। বৈঠকে এই দুই পক্ষকে সমন্বয় সাধন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, প্রায় ছয় মাস আগে থেকে মিশন থেকে ভিসার স্টিকারের চাহিদাপত্র পাঠাতে নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু মিশনগুলো অনেকসময় এটি ঠিকমত পালন করছে না।
বর্তমানে বিশ্বের ৫৫টি দেশে বাংলাদেশের ৭২টি মিশন রয়েছে, যার মধ্যে ৫৪টি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস আছে।
২০১০ সালে সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব বাংলাদেশি নাগরিককে এমআরপি দেওয়ার জন্য প্রকল্প নেয়। ২০১৫ সালের জুনের পর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ হয়ে যায়। তবে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে যারা এর আগে বিদেশ গেছেন তাদের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই। এরপর থেকে হাতে লেখা ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্টিকার ভিসার পাশাপাশি বিশেষ মুহুর্তে হাতে লিখে দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তা গ্রহণ হয়নি।
ঐ কর্মকর্তা আরও বলেন, এখনও অনেক দেশ জরুরী ভিত্তিতে হাতে লেখা ভিসা দিয়ে থাকে। কয়েকদিন আগেও থাইল্যান্ড জরুরী ভিত্তিতে বেশ কিছু বাংলাদেশিকে হাতে লেখা ভিসা ইস্যু করেছে। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কিছু দেশ জরুরী ভিত্তিতে হাতে লেখা ভিসা দিচ্ছে। বাংলাদেশেরও উচিৎ কিছুটা শিথিলতা দেখানো। কারণ অনেক দেশেই যেতে ভিসা লাগে না। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্য
অভ্যন্তরীণ সমঝোতাই এর সমাধান করতে পারে। কিন্তু সরকারের নিরাপত্তা বিভাগ এখনও এ বিষয়ে স্টিকার ভিসার বাইরে কোনো ভিসা ইস্যুতে মত দেয়নি।