ভুল চিকিৎসায় কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রিপন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রিপন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় ভুল চিকিৎসায় রিপন হোসেন (২৫) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে খুলনার খালিশপুর ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

রিপন খুলনা নগরের মুজগুন্নী এলাকার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত হোসেনের ছেলে এবং সিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অটোমোবাইল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।

রিপনের চাচাতো ভাই ইয়াসিন বলেন, ‘শনিবার রাতে হঠাৎ পেটের ব্যথায় অসুস্থ হন রিপন। পরে তাকে খালিশপুর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ সময় তাকে ১ লিটার ওজনের স্যালাইন পুশ করে ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করে নার্সরা। এতো দ্রুত স্যালাইন দেয়া দেখে আমরা প্রথমে ডিউটি ডাক্তার সুজাউদ্দিন সোহাগের কাছে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা তো ডাক্তার না। বুঝবেন কী? তখন আমরা চুপ করে থাকি। পরে ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, রিপন ভালো ছাত্রের পাশাপাশি ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। তারা দুই ভাই। বড় ভাই সুইডেন প্রবাসী।

এদিকে, রিপনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের পর জোর করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় খুমেক হাসপাতাল থেকে কায়েস ও কৌশিক নামে দু’জনকে আটক করেছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।

খালিশপুর ক্লিনিকের মালিক ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, রাত ১২টার পরে বুকে ব্যথা নিয়ে এক রোগী আসে। তাকে সম্ভাব্য সব চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজাউদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যায় কয়েকজন। তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ও জিম্মি করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য কায়েস ও কৌশিক নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।