চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে রোগী ভোগান্তি চরমে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নিগ্রহ করার প্রতিবাদে খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলার কথা ছিল। তবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক আসেনি। আউটডোর সেবা সম্পূর্ণ বন্ধ না থাকলেও চিকিৎসক না আসায় রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। তবে জরুরি বিভাগে সীমিত আকারে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে খুলনার খালিশপুর ক্লিনিকে রিপন হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলে। ওই ঘটনার পরে মৃত রোগীর স্বজনরা ডিউটিরত চিকিৎসক সুজাউদ্দিন সোহাগকে মারধর করে। পরে জোর করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় খুমেক হাসপাতাল থেকে কায়েস ও কৌশিক নামে দু’জনকে আটকও করে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।

চিকিৎসকদের নিগ্রহ করার প্রতিবাদে খুলনা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও চিকিৎসকদের সকল সংগঠন সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে। তবে কর্মবিরতির সময় শেষ হলেও চিকিৎসকরা কর্মস্থলে যোগ দেয়নি। এতে রোগী ও তাদের স্বজনা বিপাকে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে তেরখাদা থেকে আসা হালিমা বেগম বলেন, ‘সকাল থেকে টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে আছি। বিকেল হয়ে গেল, কিন্তু এখনো ডাক্তার আসেনি। আজকে আর হয়তো ডাক্তার আসবে না। শুনেছি আন্দোলন চলছে। আমাদের কষ্টের কথা ভাবার কেউ নেই।’

এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘জরুরি মিটিংয়ের জন্য আমি ঢাকা যাচ্ছি। একজনকে হাসপাতালের দায়িত্ব দিয়ে এসেছি। ডা. মেহেদী নেওয়াজ আমাদের নেতা। তার সঙ্গে কথা বলেন।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘চিকিৎসকদের ওপর হামলা করা উচিত নয়। বিষয়টি মানুষের মনে রাখা উচিত। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি দোষীদের বিরুদ্ধে যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়। সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন ও স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোষীদের শাস্তির জন্য আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’

রোগী ভোগান্তির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখছি।’

আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায় কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ