দুই বছর আগে হারিয়েছে রুট পারমিট, নেই চালকের লাইসেন্স
ঢাকা: বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায়, বাসচালক মাসুম বিল্লাহ কে আটক করেছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে, বাস চালানোর জন্য যে লাইসেন্স দরকার, সেটা নেই তার। মাসুম অপেশাদার চালকের লাইসেন্স ব্যবহার করে বাস চালিয়ে আসছে।
অন্যদিকে দুর্ঘটনায় জড়িত জাবালে নূর বাসটির রাস্তায় চলাচলের অনুমতির (রুট পারমিট) মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের অক্টোবরে।
অভিযুক্ত চালকের আটকের বিষয়ে র্যাব বলছে, দুর্ঘটনার দিন থেকেই আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিকে মাসুম বিল্লাহর অবস্থান জানার চেষ্টা করি। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই বাসের চালক সোহাগ, জুবায়ের এবং তাদের এক সহযোগীকে আটক করা হয়। পরে সোমবার বরগুনা থেকে মাসুম বিল্লাহ আটক হয়।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, তিন চালকের কারোই বাস চালানোর বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। প্রাইভেটকার চালানোর লাইসেন্স দিয়ে অবৈধভাবে বাস চালাতেন তারা। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় জড়িত বাসটির রাস্তায় চলাচলের অনুমতি (রুট পারমিট) মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের অক্টোবরে।
র্যাব বলছে, তিন চালকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে যাচাই করতে গিয়ে এসব জানতে পারেছে তারা।
র্যাবের এই সিনিয়র কর্মকর্তা আরও বলছেন , বাস চাপা দেওয়া অভিযুক্ত চালক মাসুম, জাবালে নূরের চালকের সহযোগী ছিলেন। কিছু দিন আগে সে অপেশাদার লাইসেন্স নিয়ে বাস চালানো শুরু করে।
পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রশিক্ষিত ড্রাইভার না থাকায়, সড়কে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে ।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখানে দুইটা জিনিস কাজ করে, সরকারের ভেতরে থাকা পৃষ্ঠপোষকদের জন্যই বাস মালিক এবং ড্রাইভাররা আজ এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, সরকার কঠোর হতে চাইলেও, বাস-ট্রাকের মালিক ও শ্রমিকরা এ নিয়ে হরতাল শুরু করে, পরিবহণ ধর্মঘট করে, তাই কিছু বলা যায় না তাদের। তবে এই সব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে এমন ঘটনা আরও বাড়বে।
রোববার ২৯ জুলাই দুপুরে জাবালে নূর বাসের চাপায় নিহত হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই জন শিক্ষার্থী। আহত হয় অন্তত ১৪ জন।