সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী



সোহেল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

  • Font increase
  • Font Decrease

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ১৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। মাত্র ছয় থেকে সাতদিনে সিরাজগঞ্জ জেলার ৩৬টি ইউনিয়নের ২৭৭ গ্রামসহ দুটি পৌরসভা প্লাবিত হয়ে আড়াই লাখ পানিবন্দী মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রতিদিন যমুনার পানি বাড়ছে-সাথে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগও। 

রান্নাঘরসহ চুলা তলিয়ে যাওয়ায় কোনো রকমে একবেলা খেয়ে দিনপার করছে। বিশেষ করে শিশুদের ভুগতে হচ্ছে খাদ্যকষ্টে। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। টয়লেট তলিয়ে যাওয়ায় নারীদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। সারাক্ষণ পানির মধ্যে থাকায় হাত-পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে বন্যা দুর্গতদের।

চরাঞ্চলের কাওয়াকোলা ও মেছড়া, খাসরাজবাড়ী ও মুনসুরনগরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আশ্রয় নেয়ার মতো উচু জায়গা না থাকায় চরাঞ্চলের বন্যা কবলিতরা শিশু সন্তানসহ গরু-ছাগল-হাঁস মুরগী নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

খোকশাবাড়ী, পুঠিয়া বাড়ী, কাটেঙ্গা ও মেছড়া ও ভাটপিয়ারীসহ কয়েকটি গ্রামের বন্যাকবলিতদের অভিযোগ, দুর্ভোগে থাকলেও সরকারের পক্ষে প্রশাসন বা ইউপি মেম্বর-চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি-প্রশাসন কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি। কিছু কিছু স্থানে দশ কেজি করে চাল দেয়া হলেও অধিকাংশ বন্যা কবলিতরা বঞ্চিত রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563458107680.jpg

এ দিকে সরকারি তথ্যে, মাত্র সাতদিনের বন্যায় ইতোমধ্যে দেড়-দুই হাজার পরিবার সম্পূর্ণ ঘরবাড়ি-বসতভিটা হারিয়েছে। আর প্রবলস্রোতের কারণে প্রায় ৩০ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো পানির নীচে রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আট হাজার হেক্টর জমির ধান-পাট ও সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাজিপুরে খাসরাজবাড়ী বাজারে বন্যার পানিতে  তলিয়ে থাকা প্রায় ২০টি বসতবাড়ী-দোকানপাট মালামালসহ যমুনায় ডুবে গেছে। সর্বস্ব খুইয়ে মানুষগুলো এখন দিশেহারা। এছাড়াও এনায়েতপুরের আড়কান্দি ও চৌহালীর খাসপুকুরিয়া এবং কাজিপুরের শুভগাছা, পাটাগ্রাম, সদর উপজেলার কাওয়াকোলাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানির প্রবল চাপের কারণে শহরসহ উপজেলা রক্ষাবাঁধগুলোও হুমকিতে রয়েছে।

সোনাগাছা ইউনিয়েন পারপাচিল গ্রামের সানোয়ার হোসেন জানান, বাড়ি ঘরে পানি ওঠায় বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। ঘর তৈরি কারার মত টিনও নাই তাই রাতে মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাই। বৃষ্টি হলে সারা রাত বৃষ্টিতে ভিজে নির্ঘুম রাত্রী যাপন করছি। রান্নাঘরসহ চুলা তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করতে পারছি না।

খাসরাজবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম জানান, তিনদিন আগে খাসরাজবাড়ী বাজারে পানি ওঠে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ভাঙনে দোকান-পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালামালসহ ডুবে যায়।

জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন জানান, সরকার বন্যা কবলিতদের পাশে সবসময় রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত সব উপজেলায় ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ ও বিতরণ শুরু হয়েছে। হয়তো কোন কোন এলাকায় বিতরণ করতে একটু সময় লাগছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে সব বন্যা কবলিত মানুষ ত্রাণ সামগ্রী পাবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;