বন্যায় আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুই দফায় বন্যার পানিতে ডুবে আউশ ধানের চারা ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পর্যাপ্ত আমন চারা না থাকায় নতুন করে জমিতে রোপণ করতে পারছে না কৃষকরা। তাই দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। এতে বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। দুই দফায় বন্যায় সদ্য রোপণকৃত আউশ ধানের চারা ও আমন বীজতলা ১০ থেকে ১৫ দিন পানির নিচে ডুবে থাকে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নের কৃষকরা। বন্যায় বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটের ক্ষয়-ক্ষতির চেয়েও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বন্যার পানি নেমে গেলে দেখা যায় দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় আমন বীজতলায় পচন ধরেছে। প্রায় ২০ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৩০ হেক্টর জমির আউশ ও পঞ্চাশ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কৃষক ফজলুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বন্যায় আমনের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও চারা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সরকারিভাবে কৃষকদের সহযোগিতা করা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বন্যায় আউশ ক্ষেত, আমনের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পীরগাছা উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিব বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এবারের বন্যায় ৩ হাজার ২০০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১শ জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি করে আমন ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নতুন করে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।