ঢাকা বিভাগে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ওপর নির্ভর করছে জাতীয় পার্টির ভোটের কৌশল। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।

আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট পৃথকভাবে ৩শ’ আসনেই নির্বাচন করবে। জাতীয় পার্টির দু’ধরনের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এর অংশ হিসেবে ৩শ’ আসনে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করেছে জাতীয় পার্টি। একাধিক বিকল্প ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিকদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বার্তা২৪.কম-এ প্রথম ধাপে প্রকাশ করা হচ্ছে ঢাকা বিভাগের প্রার্থীদের তালিকা।

ঢাকা-১ আসনে একক প্রার্থী রয়েছে বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-২ আসনে শাকিল আহমেদ শাকিল, ঢাকা-৩ আসনে মনির সরকার ও হাজী সাব্বির আলী, ঢাকা-৪ বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৬ বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।

ঢাকা-৮ আসনে মোট চারজন প্রার্থীদের তালিকা করা হয়েছে। এই আসনে শরীক দল ইসলামী মহাজোটের একজনের নামও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আসনে ইসলামী মহাজোটের প্রার্থী আমিনা মোর্তুজা টলি, জাতীয় পার্টির রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রুবেল।

ঢাকা-৯ আসনে খসড়া তালিকায় প্র্রার্থী হিসেবে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ঢাকা-১০ আসনে মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১১ আসনে এসএম ফয়সল চিশতী ও কাজী আবুল খায়ের, ঢাকা-১২ দেওয়ান আলী, ঢাকা-১৩ শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও নিসার উদ্দিন চৌধুরী (বিএনএ জোট), ঢাকা-১৪ মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ঢাকা-১৫ সামছুল হক, ঢাকা-১৬ আসনে সুলতান আহমেদ সেলিম ও আমানত হোসেন আমানত।

ঢাকা-১৭ আসনে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ঢাকা-১৮ আসনে চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল ও জাকির হোসেন মৃধা। এই আসনে বিএনএ জোটের প্রার্থী হিসেবে আখতার হোসেনের নাম রয়েছে।

ঢাকা-১৯ বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, আবুল কালাম আজাদ ও কাজী মতিউর রহমান, ঢাকা-২০ আসনে রয়েছেন খান মোহাম্মদ ইস্রাফিল খোকন ও দেলোয়ার হোসেন মিলন।

গাজীপুর জেলা
রাজধানীর নিকটবর্তী জেলা গাজীপুর-১ আসনে খন্দকার আব্দুস সালাম ও শরিফুল ইসলাম শরিফ, গাজীপুর-২ এমএম নেওয়াজ উদ্দিন, অ্যাড মাহাবুব আল মামুন ও জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর-৩ আজাহারুল ইসলাম সরকার ও মোতাহার হোসেন মানিক, গাজীপুর-৪ আজম খান, আরিফুর রহমান খান, আনোয়ার কবির ও সামছুদ্দিন খান, গাজীপুর-৫ জয়নাল আবেদীন, শিশির আজম ও মোশারাফ হোসেন।

নরসিংদী জেলা
নরসিংদী-১ আসনে শফিকুল ইসলাম শফিক, ওসমান গণি ভুঁইয়া (ইসলামী মহাজোট), নরসিংদী-২ আজম খান, এসকে কামরুল ইসলাম, আবু সাঈদ স্বপন, রফিকুল ইসলাম খান (বিএনএ জোট), নরসিংদী-৩ রেজাউল ইসলাম বাসেত ও আলমগীর কবীর, নরসিংদী-৫ মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সাত্তার ও মনির হোসেন।

মানিকগঞ্জ জেলা
মানিকগঞ্জ-১ আসনে সুলতান মাহমুদ, আলী কসর ও আরশেদ আলী (ইসলামী মহাজোট), মানিকগঞ্জ-২ সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান মিরু ও আবুল কালাম আজাদ (ইসলামী মহাজোট), মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জহিরুল ইসলাম রুবেল, হাবিবুল্লাহ ও আব্দুল খালেদ খান (ইসলামী মহাজোট)।

নারায়ণগঞ্জ জেলা
নারায়ণগঞ্জ-১ সাইফুল ইসলাম ও কেএম আবু হানিফ হৃদয় (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-২ জাতীয় যুব সমাজের সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন ও কেএম আবু হানিফ হৃদয় (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, অ্যাড জিনাত ফেরদৌসা ঝুমা (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান, মিসেস পারভীন ওসমান ও জয়নাল আবেদীন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা
মুন্সীগঞ্জ-১ প্রেসিডিয়াম সদস্য এরশাদের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে জয়নাল আবেদীন, নোমান মিয়া, কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম খন্দকার (ইসলামী মহাজোট), মুন্সীগঞ্জ-৩ আব্দুল বাতেন ও গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

টাঙ্গাইল জেলা
টাঙ্গাইল-১ মো. মঞ্জু, টাঙ্গাইল-২ সামছুল হক তালুকদার, টাঙ্গাইল-৩ অ্যাড. সুয়েত আলী, টাঙ্গাইল-৪ মোস্তাক আহমেদ, টাঙ্গাইল-৫ পীরজাদা শফিউল আলম মনির, আবুল কাশেম ও মোজাম্মেল হক, টাঙ্গাইল-৬ এমদাদ হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল আলম জহির ও নুরুল ইসলাম নুরু, টাঙ্গাইল-৮ কাজী আশরাফ সিদ্দিকী।

কিশোরগঞ্জ জেলা
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে এসএম মোস্তফা খান পাঠান, আশরাফ উদ্দিন রেনু, মোস্তাইন বিল্লা ও আব্দুল গণি, কিশোরগঞ্জ-২ সৈয়দ সাদরুল উল্লাহ মাজু, আবু সাঈদ, মো. খুররম জাহাঙ্গীর আলম সৈকত। কিশোরগঞ্জ-৩ বর্তমান এমপি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু, বিএনএ জোটের আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ শেখ মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব ও কাজী আফতাব, কিশোরগঞ্জ-৫ হোসাইন উদ্দিন হিরা, অ্যাড. আইয়ুব, তাজুল ইসলাম তোজ ভৈরবী ও কিশোরগঞ্জ-৬ আলহাজ আবু বক্কর সিদ্দিক ও এনকে সোহেল।

রাজবাড়ী জেলা
রাজবাড়ী-১ খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু, হাজী শাহাদত হোসেন মিল্টন, রাজবাড়ী-২ মোহাম্মদ আবুল হোসেন, এবিএম নুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, রফিকুল শামীম ও মনোয়ার ই খোদা মন্টি চৌধুরী।

গোপালগঞ্জ জেলা
গোপালগঞ্জ-১ আব্দুল মান্নান শেখ মুন্নু, গোপালগঞ্জ-২ আলমগীর হোসেন ও কাজী শাহীন গোপালগঞ্জ-৩ মোঃ রঞ্জন ও নুর ইসলাম (ইসলামী মহাজোট)

ফরিদপুর জেলা
ফরিদপুর-১ আক্তারুজ্জামান খান ও কামরুজ্জামান, ফরিদপুর-২ মিয়া আলমগীর ও ফরিদুল রহমান শিপন, ফরিদপুর-৩ এসএম ইয়াহিয়া ও হাসিনা ইমরান চৌধুরী, ফরিদপুর-৪ আনোয়ার হোসেন ও শামসুল কবীর চৌধুরী (বিএনএ জোট)।

শরীয়তপুর জেলা
শরীয়তপুর-১ মাসুদ উর রহমান মাসুদ, শরীয়তপুর-২ শারমিন পারভীন লিজা ও সুলতান সরদার, শরীয়তপুর-৩ মম ওয়াসিম ও এমএ হান্নান।

মাদারীপুর জেলা
মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মাদারীপুর-২ সিরাজুল ইসলাম স্বপন, মাদারীপুর-৩ এমএ খালেক।

এই তালিকা প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদিও পার্লামেন্টারী বোর্ড প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে। তবুও খুব কম ক্ষেত্রেই এই তালিকার পরিবর্তন হতে পারে। এর ভেতর থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।

অন্য বিভাগের খসড়া তালিকা জানতে চোখ রাখুন বার্তা২৪.কমে

   

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করার অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপের ০৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘নাটোরে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ’ শিরোনামে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত পত্রিকায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা হতে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪টা ১০ ঘটিকায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

;