উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ যত ঈদগাহ



শেহজাদ আমান, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
ঈদগাহ সংস্কৃতি বেশি সুপরিচিত এই ভারতীয় উপমহাদেশে

ঈদগাহ সংস্কৃতি বেশি সুপরিচিত এই ভারতীয় উপমহাদেশে

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশাল ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করা ইসলামী সংস্কৃতিতে বিশেষ একটি ব্যাপার। অন্তত উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করার ব্যাপারটি বেশ জনপ্রিয় ও মর্যাদার একটি ব্যাপার। ঈদের নামাজ কেবল জামাতেই আদায় করা যায়। মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করা গেলেও ঈদগাহে নামাজ আদায় উপমহাদেশের মানুষের মধ্যে খুবই পছন্দনীয় একটি রীতি।

বছরের অন্যান্য সময়ে সাধারণত এই জায়গায় নামাজ পড়া হয় না। তবে, ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ার ব্যাপারটি একটি ‘সুন্নাত’। সে অনুযায়ী, ঈদের দিন সকালে মুসলমানরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে, পারতপক্ষে নতুন পোশাক পরে ঈদগাহে জমায়েত হন।

ঈদগাহ সংস্কৃতি বেশি সুপরিচিত এই ভারতীয় উপমহাদেশে; বেশি হলে তা বিস্তৃত এশিয়ার আরো কিছু দেশে। উপমহাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে এমন কিছু ঈদগাহ, যেগুলো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এগুলোর নাম ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়; দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে নামাজ পড়তে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

শুরুতেই বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ কিছু ইদগাহ’র ওপর আলোকপাত করা যাক—

গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ, দিনাজপুর

বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দান। ২০১৯-এর ঈদ-উল-ফিতরে এখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ঈদের জামাতটি, যেখানে প্রায় ৬,০০,০০০ মানুষ উপস্থিত ছিল বলে অনুমান করা হয়।

গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565576104509.jpg
◤ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দান ◢


ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ ফিট। এর সঙ্গে রয়েছে আরো ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ ফিট লম্বা ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো মিনার নির্মাণ করা হয়েছে সিরামিক দিয়ে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান, কিশোরগঞ্জ

জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদুল আযহা নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কালের স্রোতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানটি পরিণত হয়ে উঠেছে একটি ঐতিহাসিক স্থানে। এ ময়দানের বিশাল জামাত গৌরবান্বিত ও ঐতিহ্যবাহী করেছে কিশোরগঞ্জকে। বর্তমানে এখানে একসঙ্গে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শুরুর আগে শর্টগানের ফাঁকা গুলির শব্দে সবাইকে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সঙ্কেত দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বে নরসুন্দা নদীর তীরে এর অবস্থান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565576425086.jpg
◤ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতের দৃশ্য ◢


এই ঈদগাহ মাঠটি চারপাশে উঁচু দেয়ালে ঘেরা হলেও মাঝে মাঝেই ফাঁকা রাখা হয়েছে যাতে মানুষ মাঠে প্রবেশ করতে ও বের হতে পারে। এছাড়া এই মাঠের প্রাচীর দেয়ালে কোনো দরজা নেই। শোলাকিয়া মাঠে ২৬৫ সারির প্রতিটিতে ৫০০ করে মুসল্লি দাঁড়াবার ব্যবস্থা আছে। ফলে মাঠের ভেতর সবমিলিয়ে এক লাখ বত্রিশ হাজার ৫০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে ঈদুল ফিতরের সময় দেখা যায়, আশপাশের সড়ক, খোলা জায়গা, এমনকি বাড়ির উঠানেও নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এভাবে সর্বমোট প্রায় তিন লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ পড়ে থাকেন। 

সিলেট শাহী ঈদগাহ, সিলেট

শহরের উত্তর সীমায় শাহী ঈদগাহ মাঠের অবস্থান। ১৭০০ সালের প্রথম দিকে নির্মিত সিলেটের শাহী ঈদগাহকে বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক স্থাপনা সমূহের মধ্যে গণ্য করা হয়। ১৭ শতকের প্রথম দশকে সিলেটের তদানীন্তন ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগ, তদারকি ও তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565576606021.jpg
◤ সিলেট শাহী ঈদগাহ'র অভ্যন্তরভাগ ◢


প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে এখানে বিশাল দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মুসল্লি একসাথে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।

ধানমন্ডি শাহী ঈদগাহ, ঢাকা

ঢাকার ধানমন্ডি থানায় অবস্থিত এই প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনাটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার প্রধান অমাত্য মীর আবুল কাসেম ধানমন্ডির শাহী ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকায় অবস্থিত মুঘল স্থাপত্য নিদর্শনসমূহের অন্যতম এই ঈদগাহ। ঈদগাহটি বর্তমানেও ঈদের (২০১৬ নাগাদ) নামাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ১৯৮১ সাল থেকে ঈদগাহটি সংরক্ষণ করছে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565576784291.jpg
◤ মুঘল আমলে নির্মিত ধানমন্ডি শাহী ঈদগাহ, বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্মিক স্থানও বটে ◢


ধানমন্ডি ঈদগাহ দৈর্ঘ্যে ১৪৫ ফিট ও প্রস্থে ১৩৭ ফিট। ৪ ফিট উঁচু করে ভূমির ওপরে এটি নির্মিত হয় যাতে বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এর চারকোণে অষ্টাভূজাকৃতির বুরুজ রয়েছে। তিন ধাপের মিম্বর ঈদগাহের উত্তর পাশে রয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে ইমামরা নামাজ পড়ান। ঈদগাহটি চারদিকে ১৫ ফিট উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তবে বর্তমানে কেবল পশ্চিম দিকের প্রাচীরটিই মোঘল আমলের। পশ্চিম প্রাচীরের মাঝ বরাবর প্রধান মেহরাব। প্রধান মেহরাবের দুই দিকে আছে বহু খাঁজবিশিষ্ট নকশা করা প্যানেল। এছাড়া ছোট আকারের দুইটি মেহরাব আছে এর দুই পাশে। মেহরাবগুলো দেওয়ালের আয়তাকার ফ্রেমের ভেতরে অবস্থিত।

এছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও রয়েছে বেশ কিছু প্রসিদ্ধ ঈদগাহ—

মোরাদাবাদ ঈদগাহ, উত্তর প্রদেশ, ভারত

ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও সুপ্রসিদ্ধ ঈদগাহ এটি। অবস্থিত দেশটির উত্তর প্রদেশে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565577047446.jpg
◤ ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও সুপ্রসিদ্ধ মোদারাবাদ ঈদগাহ ◢


লাখখানেক মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন এই ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহটিতে। 

পুরানি ঈদগাহহায়দারাবাদ, ভারত

এটিও ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী একটি ঈদগাহ। অবস্থিত তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দারাবাদে। এটির নির্মাণ কাল ১৭ শতক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565577178396.jpg
◤ পুরানি ঈগগাহ’র অন্যতম নান্দনিক অংশ হচ্ছে এর সুবিশাল দুটো পিলার ◢


এটি রয়েছে শহরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার তালিকায়। ঈদগাহটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর দুটো বিশাল পিলার, যেটার সাথে মিল রয়েছে চারমিনারের পিলারগুলোর।

ঈদগাহ মসজিদ, কাবুল, আফগানিস্তান

ঈদগাহ মসজিদ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। একে দেশটির ধর্মীয় মর্যাদার ধারক মসজিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে প্রতি বছর দুবার করে ১০ লাখ লোক ঈদের নামাজ আদায় করে থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565577430328.jpg
◤ পাহাড়ের কোলে সুদৃশ্য ঈদগাহ মসজিদ ◢


কাবুল শহরের পশ্চিম প্রান্তে মাহমুদ খান ব্রিজ ও জাতীয় স্টেডিয়ামের কাছে অবস্থিত এটি। অনেক ঐতিহ্যের ধারক সুপ্রাচীন এই মসজিদ ও ঈদগাহটি। ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এটির নির্মাণ হয়েছে মুঘল আমলে। 

ঈদ কাহ মসজিদ, ঝিনজিয়ান প্রদেশ, চীন

চীনের ঝিনজিয়ান প্রদেশের কাশগরে অবস্থিত এই মসজিদটি একই সাথে মসজিদ ও ঈদগাহ হিসেবে সুপরিচিত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565577656051.jpg
◤ সুপ্রাচীন ঈদ কাহ মসজিদ চীনের উইঘুর মুসলিমদের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা ◢


চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ১৪৪২ সালে স্থানীয় মুসলিম নেতা সাকসিজ মির্জা মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদ ও ঈদগাহটির মোট আয়তন ১৬,৮০০ বর্গফুট।

খেরি ঈদগাহ, উত্তর প্রদেশ, ভারত

খেরি ঈদগাহ অবস্থিত ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষিপুর জেলায়। লক্ষিপুর ও খেরির রেলওয়ে লাইনের মাঝখানে এটি অবস্থিত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565577839704.jpg
◤ নান্দনিক খেরি ঈদগাহ ◢


এই ঐতিহাসিক ঈদগাহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল খেরি শহরের উত্তর পশ্চিমে। আবাসিক এলাকার বাইরে। মসজিদপ্রাঙ্গণে ঢোকার পথ রয়েছে তিনটি। ঈদের দিন, ঈদগাহের বাইরের দিকগুলো ব্যবহৃত হয় ফুড স্টল, দোকানপাট ও বিনোদনের পসরার কাজে।

আরো পড়ুন ➥ ঈদ-উল আযহা দেশে দেশে

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;