ফুলে ফুলে সুবীর নন্দীকে শেষ শ্রদ্ধা
দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর প্রতি শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন তার সংগীত জগতের সহকর্মী ও ভক্তরা।
বুধবার (৮ মে) সকাল ১১টায় একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সংগীতশিল্পীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এখানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে দেশের সর্বস্তরের মানুষসহ সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক দল।
প্রিয় শিল্পীকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার ভক্তরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবীর নন্দীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য কবি মুহাম্মদ সামাদ, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, চিত্রনায়ক উজ্জ্বল ও চিত্রনায়িকা নূতন, গীতিকার রফিকুজ্জামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, কবির বকুল; সংগীতশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, খুরশীদ আলম, তিমির নন্দী, ফকির আলমগীর, কুমার বিশ্বজিৎ, এন্ড্রু কিশোর, রবি চৌধুরী, শুভ্র দেব, নকিব খান, ফোয়াদ নাসের বাবু, দশা বুলবুল, এস ডি রুবেল, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা নিশিতা বড়ুয়া, কিশোর, মুহিন, সাব্বির, কিশোর, রাশেদ প্রমুখ।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, “তিনি হৃদয় দিয়ে গান গাইতেন। তার গান হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তিনি যত বড় মাপের শিল্পী ছিলেন, তেমনি ছিলেন বিনয়ী। তিনি শিখিয়ে গেলেন, কেউ যত বড় শিল্পী হোক না কেন তাকে বিনয়ী হতে হবে।”
তার চলে যায় আধুনিকতার বাংলা গানে একটা শূন্যতার সৃষ্টি হলো বলেও জানান তিনি।
সংগীতশিল্পী খুরশিদ আলম বলেন, ‘দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তার সঙ্গে পরিচয়। তার গান আধুনিক বাংলার প্রকৃত সংগীত। শুদ্ধ গানের চর্চা করতেন তিনি।’
নাট্যকার মামুনুর রশিদ বলেন, “তিনি সুকণ্ঠ সুরের অধিকারী, ছিলেন ভালো মানুষ। তার মতো বিনয়ী শিল্পী তার গানের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকবেন।”
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, “কিছুদিন আগে হবিগঞ্জে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। হঠাৎ করে তিনি চলে গেলেন। তার আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি।”