কে পাচ্ছেন এরশাদের শূন্য আসনের লাঙ্গল



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ | ফাইল ছবি

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ | ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনে অর্ধ ডজন প্রার্থী চাইছেন দলের মনোনয়ন। এরশাদপুত্র সাদসহ পরিবারের ৪ সদস্যও রয়েছেন মনোনয়ন দৌড়ে। তাদের একজন তো মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন।

পরিবার থেকে মনোনয়ন দৌড়ে থাকা প্রার্থীরা হলেন—এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, ভাতিজা (ছোট ভাইয়ের ছেলে) সাবেক এমপি আসিফ শাহরিয়ার, ভাতিজা (মামাতো ভাইয়ের ছেলে) মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ভাগনি (মেরিনা রহমানের মেয়ে) মেহেজেবুন্নেছা রহমান টুম্পা।

পরিবারের বাইরে থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন—প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি এস এম ফখর-উজ-জামান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এস এম ইয়াসির। রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা এস এম ইয়াসিরকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।

জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত এ আসনে মনোনয়ন পেলেই বিজয়ী হবেন এমনটা ধরে নিয়ে লবিং-তদবির বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রার্থীরা। অনেকেই পার্টির চেয়ারম্যান মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন।

মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছেন এরশাদপুত্র সাদ। তার জন্য লবিং করছেন তার মা সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। বিগত নির্বাচনে তাকে কুড়িগ্রাম সদর আসনে প্রার্থী করার চেষ্টা করেছিলেন। রওশন চাইছেন এরশাদের উত্তরাধিকারী হিসেবে ছেলে সাদ রংপুরে প্রার্থী হোক।

স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় অনেক নেতা গোপনে আপত্তি করলেও রওশনের সামনে গিয়ে বিরোধিতা করার মতো শক্তি-সাহস রাখেন না। এমনকি জি এম কাদের জোর দিয়ে কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তেমনটা হলে রংপুর সদরে প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ভাঙনের মুখে পড়তে প্রয়াত এরশাদের জাপা।

মনোনয়নের ব্যাপারে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে সাদ এরশাদ জানিয়েছেন, আমি প্রার্থী হতে চাই। কথাবার্তা চলছে। বাকিটা নির্ভর করছে দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর। দেখি কী হয়। তবে আমি আশাবাদী।

নির্বাচিত হতে পারলে, পিতা এরশাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চান। অগ্রাধিকার পাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত। মাদকের বিষয়ে থাকবে কঠোর অবস্থান। মাদকাসক্তদের সমাজের মূলধারায় যুক্ত করে ওয়ার্কফোর্স হিসেবে গড়তে চান সাদ এরশাদ।

এরশাদের শূন্য আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সিরিয়াস সাবেক এমপি আসিফ শাহরিয়ার। এরশাদের ছোট ভাইয়ের ছেলে শাহরিয়ার আটঘাট বেঁধেই নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় যোগাযোগ শুরু করেছেন তিনি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে আসিফ শাহরিয়ার জানিয়েছেন, দলের মনোনয়ন চাইবেন। দল যদি মনোনয়ন না দেন তাহলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।

তিনি বলেন,মাঠে ডিমান্ড রয়েছে, রংপুরের লোক চাইছেন তাই প্রার্থী হচ্ছি। রংপুরের লোকজন কোনো বহিরাগত প্রার্থীকে মেনে নেবে না। চাচা বেঁচে থাকলে ভিন্ন কথা ছিল কিন্তু এখন মানুষ আবোল তাবোল প্রার্থীকে ইজিলি নেবে না। বহিরাগত প্রার্থী দেওয়া হলে জাতীয় পার্টির জন্য আত্মঘাতী হবে।

নির্বাচিত হতে পারলে জনগণের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে চান আসিফ শাহরিয়ার।

এরশাদের আরেক ভাতিজা পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারী মেজর (অব.) খালেদ আক্তারও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তিনি বিগত নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তার প্রভাব প্রতিপত্তি অনেক। জীবিত এরশাদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকার কারণে অনেকে তাকে সমীহ করে চলতেন।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে খালেদ আখতার বলেন, আমি মনোনয়নপ্রাপ্তির বিষয়ে আশাবাদী। আমি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে আগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছি। তারাও আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী এরশাদ পরিবারের অপর সদস্য ভাগনি টুম্মা। সাবেক এমপি মেরিনা রহমানের মেয়ে তিনি। টুম্পার পৈত্রিক ভিটা নীলফামারীর সৈয়দপুরে। বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সঙ্গে। তিনিও প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পরিবারের বাইরে রয়েছেন, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এস এম ইয়াসির। আশির দশকে ছাত্রসমাজের মাধ্যমে যিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এরপর ধাপে ধাপে এগিয়ে রংপুর মহানগরে প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। মহানগরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টিতে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। দীর্ঘদিন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরশাদ মৃত্যূর অল্প কয়েকদিন আগে তাকে প্রমোশন দিয়ে যুগ্ম মহাসচিব করেছেন।

এস এম ইয়াসির বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমার মনোনয়নের বিষয়ে ওয়ার্ড থানা ও মহানগর কমিটির নেতারা কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দোয়া আশীর্বাদ নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচিত হতে পারলে রংপুরকে ঢেলে সাজাতে চাই।

আরেকজন আগ্রহী প্রার্থী লবিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি এস এম ফখর উজ-জামান। রংপুর ডেইরির প্রতিষ্ঠাতা একাধিক নির্বাচনে রংপুর সদরের পাশের আসন রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) থেকে জাপার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে প্রত্যেক দফায় ধরাশায়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীর কাছে।

এরশাদের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত মকবুল হোসেন ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি ফকর-উজ-জামান এবার রংপুর সদর থেকে প্রার্থী হতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্টির ফান্ডের বড় ডোনার হিসেবে পরিচিত ফখর-উজ-জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেছেন, পরিবারের বাইরে থেকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমার পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। তবে শঙ্কার কথা হচ্ছে ভোটারদের ভোট দিতে অনীহা। তার ওপর যদি গ্রুপিং নিরসন না হয় তাহলে ভরাডুবির শঙ্কাও দেখছেন কেউ কেউ।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, বড় দল অনেকে মনোনয়ন চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে ৪ জনের নাম প্রস্তাব চাওয়া হবে। সেই তালিকা থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে পার্লামেন্টারি বোর্ড।

   

জাপার আংশিক কমিটি ঘোষণা রওশন এরশাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বেগম রওশন এরশাদ

বেগম রওশন এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির (রওশন) চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আংশিক নাম ঘোষণা করেছেন। পর্যায়ক্রমে কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে রওশন এরশাদ গত ৯ মার্চ আইবি চত্ত্বরে এক তরফাভাবে জাতীয় পার্টির আয়োজন করেন। কাউন্সিলে রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান, কাজী ফিরোজ রশীদকে নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আর মহাসচিব নির্বাচিত হন কাজী মামুনুর রশীদ।

কাউন্সিলের পর শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন।

এতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে রফিকুল হক হাফিজ (সাবেক উপ- মন্ত্রী), অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন (সাবেক সংসদ সদস্য), ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর (সাবেক সংসদ সদস্য), জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (সাবেক সংসদ সদস্য), কারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, ডা. কে আর ইসলাম, নিগার সুলতানা রাণী, আবুল কাশেম সরকার (সাবেক সংসদ সদস্য), ইয়াহিয়া চৌধুরী (সাবেক সংসদ সদস্য), শফিকুল ইসলাম শফিক (নরসিংদী), শংকর পাল (হবিগঞ্জ), আমানত হোসেন আমানত, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, হাজী মো: ফারুক (ঢাকা), আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাস (খুলনা), নুরুল ইসলাম নুরু (টাঙ্গাইল), তুহিনুর রহমান (নুরু হাজী) ঢাকা।

উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এমএ গোফরান (লক্ষীপুর) ও এমএ কুদ্দুস খাঁন (ঝালকাঠী)।

ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন (গোপালঞ্জ), মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক (ঢাকা), ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ (জামালপুর) সাবেক সংসদ সদস্য, মো: মোক্তার হোসেন (খুলনা) সাবেক সংসদ সদস্য, হাজী নাসির সরকার (ঢাকা), আব্দুল আজিজ খাঁন (গুলশান), মোল্যা শওকত হোসেন বাবুল (খুলনা), মো: শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু (ঢাকা), মিজানুর রহমান দুলাল (পটুয়াখালী), শাহ্ আলম তালুকদার (বরিশাল), এ্যাড. মো: আব্দুল কাইয়ুম (ময়মনসিংহ), শাহ্ জামাল রানা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।

যুগ্ম-মহাসচিব পদে ফকরুল আহসান শাহজাদা (বরিশাল), পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ (বাহ্মণবাড়িয়া), শেখ মাসুক রহমান (ঢাকা), সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ (খুলনা), সুজন দে (চট্টগ্রাম), এসএম হাসেম (ঢাকা)।

সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানাজ পারভীন (ঢাকা), মোশাররফ হোসেন (ময়মনসিংহ), এ্যাড. এসএম মাসুদুর রহমান (খুলনা), এ্যাড. মো: আবু সালেহ চৌধুরী (সিলেট), অধ্যাপিকা বিলকিস সরকার পুতুল (নরসিংদী), ফজলে ইলাহী সোহাগ (নোয়াখালী), জাফর ইকবাল নিরব (পিরোজপুর), শামসুল আলম (কক্সবাজার)।

যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার আহমেদ (ঢাকা), মো: মোসলেম আলী (মেহেরপুর), আবুল বাশার (মানিকগঞ্জ), নাফিজ মাহবুব (ময়মনসিংহ), সিরাজুল আরেফিন মাসুম, এম, এম, আমিনুল হক সেলিম, কোষাধ্যক্ষ ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর (রংপুর), প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু (চাঁদপুর), দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসান আহমেদ জুয়েল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. এমদাদ (নড়াইল), সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ আলম মীর (বরিশাল), সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল খাঁন (লালমনিরহাট), তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাহিন আরা সুলতানা রিমা (চাপাইনবাবগঞ্জ), আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সাজ্জাদ হোসেন সেনা (কুষ্টিয়া), যুব বিষয়ক সম্পাদক মো: জহির উদ্দিন (ঢাকা), শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ লিপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সায়িকা হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক শরিয়ত আলী তালুকদার (সুনামগঞ্জ), প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার।

যুগ্ম-সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য, যুগ্ম- প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদ খান, যুগ্ম- কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মেহবুব হাসান, যুগ্ম- সমবায় বিষয়ক সম্পাদক চিশ্তী খায়রুল আবরার শিশির, যুগ্ম- ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুকুল, যুগ্ম-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো: তৌহিদুর রহমান খাঁন, যুগ্ম- শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাজী মাসুম পারভেজ, যুগ্ম- এনজিও বিষয়ক সম্পাদক এম, আবু জাফর কামাল, যুগ্ম- সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শরীফ, যুগ্ম- সাহিত্য ও কৃষ্ঠি বিষয়ক সম্পাদক আফতাব গনি, যুগ্ম- প্রাদেশিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রবিন।

সদস্য রিয়াজ খান, মকবুল হোসেন মুকুল, এসএম মুর্তজ আলম বুলবুল, নাসির নেওয়াজ, আবু নাসের সিদ্দিকী, কাদের মুন্সি, আব্দুল হালিম, আহমদ আলী (সিলেট)।

;

২৬ এপ্রিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নয়াপল্টনে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সর্বশেষ সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

;

শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা তার গদি নিয়ে আতঙ্কে আছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা জানে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি, ৯৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। তিনি আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন তার গদি চোরাবালির উপর দাঁড়ানো। যেকোনো সময় বালুর মধ্যে ঢুকে যাবে। তিনি সে আতঙ্কেই হাবিবুর রশিদ হাবিব, রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনের আলোয় থাকার চেয়ে বেশি লাল দেয়ালের মধ্যেই থাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এতটাই আতঙ্কিত যে, নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গ্রেফতার কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর কারণও আছে। শেখ হাসিনা জানে তার সরকারের কোনও জনসমর্থন নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দীদশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেন যে, তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। তাই তারা জেলে। কিন্তু আপনি যে ১/১১ এর সময় চাঁদা নিয়েছিলেন যার সাক্ষী আপনারই ফুফাতো ভাই এবং ওবায়দুল কাদের। তারা গোয়েন্দাদের কাছে অনেক কথা বলেছেন। আপনার তো কিছু হল না, আপনি তাহলে কে, আপনার মামলার কি হল?

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক, তারা জনগণের পক্ষের মানুষকে কারাগারে ভরে রাখে। হাবিবুর রশিদ হাবিব কি কারো ঘরবাড়ি দখল করেছে, নাকি নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া এমপিদের মতো নিষ্পাপ শিশু ত্বকি হত্যার অভিযোগ রয়েছে? তাহলে তাদের গ্রেফতার না করে কেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হল?

রিজভী আরও বলেন, আজ জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। মানুষের টাকা এমপিদের পকেটে ঢুকছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেদিকে আপনি দেখছেন না, আপনি বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, ভালোর জয় হবেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মজনু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আগামী ৩০ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা অপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ বিষয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

;