শীত জুড়ে থাকুক টমেটো

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টমেটো। ছবি: সংগৃহীত

টমেটো। ছবি: সংগৃহীত

টমেটোকে সবজী হিসেবে চিনলেও এটা আসলে একটি ফল।

সবজী কিংবা ফল যাই হোক না কেন, শরীর সুস্থ রাখতে শীতকালীন প্রাকৃতিক এই খাদ্য উপাদানটির অবদান অনন্য। বিভিন্ন ধরণের রান্না, সালাদ কিংবা স্মুদি তৈরি করে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে সহজেই টমেটোকে রাখা সম্ভব।

শীতের পুরোটা মৌসুম জুড়ে ফাইটোকেমিক্যালযুক্ত টমেটো কেন খাওয়া প্রয়োজন জেনে রাখুন।

বিজ্ঞাপন

ত্বকের সুরক্ষা

ত্বক, চুল ও নখ ও কনেক্টিভ টিস্যুর প্রধান উপাদান হলো কোলাজেন। যা অনেকটাই নির্ভরশীল ভিটামিন-সি এর উপর। যে কারণে শরীরে ভিটামিন-সি এর অভাবে ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ভিটামিন-সি ক্যান্সার প্রতিরোধ, ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি, ইনফেকশন থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়া ত্বকে বলিরেখা, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, ত্বকে কালচে ভাব দেখা দেওয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে ভিটামিন-সি। প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান টমেটো থেকেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে।

চোখের সুরক্ষা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/21/1542798523134.jpeg

বিজ্ঞাপন

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন, লুটেইন ও বেটা-ক্যারোটিন। এই সকল উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ উপাদান হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এই উপাদানগুলো দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও বয়সজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

ডায়বেটিস রাখে নিয়ন্ত্রণে

টমেটো ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। বিশেষ করে টাইপ-১ ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে টমেটো বেশি কার্যকরি। অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়বেটিস আক্রান্তদের রক্তের গ্লুকোজ ও লিপিড প্রোফাইলকে নিউট্রাল রাখতে সাহায্য করে টমেটোতে থাকা আঁশ।

কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমায়

যে সকল খাদ্য উপাদান থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল ও আঁশ পাওয়া যায়, সে সকল খাবার কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের মতো বিরক্তিকর সমস্যাকে কমায় ও দূর করে। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ ও পানি থাকায় নিয়মিত টমেটো খাওয়ার ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা একেবারেই কমে যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/21/1542798544727.jpg

সুস্থ থাকে হৃদযন্ত্র

টমেটোতে থাকা আঁশ, পটাশিয়াম ও ভিটামিন-সি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি ও সোডিয়ামের মাত্রা কমার ইতিবাচক প্রভাব সরাসরি পড়ে হৃদযন্ত্রের উপর। প্রাত্যহিক খাদ্যাভাসে টমেটো থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা।

গর্ভাবস্থায় উপকার

গর্ভস্থ শিশুর সুস্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখে টমেটোতে থাকা ফলিক অ্যাসিড। প্রতিদিন অন্তত একটি মাঝারি আকারের টমেটো মা ও শিশু দুজনের জন্যেই প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান।

আরও পড়ুন: আমলকির সঙ্গে হোক শীতের শুরু

আরও পড়ুন: আবহাওয়া বদলে সুস্থ থাকতে উপকারি খাবার