বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ ‘ফুড রেঞ্জার’

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিমন ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ট্রেভর জেমস। ছবি: দ্য ফুড রেঞ্জার

শিমন ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ট্রেভর জেমস। ছবি: দ্য ফুড রেঞ্জার

গত মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের খাবার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য সস্ত্রীক বাংলাদেশে পা রাখেন বিখ্যাত ফুড ব্লগার ও ভ্লগার ‘দ্য ফুড রেঞ্জার’ খ্যাত ট্রেভর জেমস। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে, নানান রকম খাবার খেয়ে, ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ফিরেও গিয়েছেন তিনি।

তবে বাংলাদেশ ছাড়ার সময় অভিজ্ঞতার ঝুলিতে আমাদের দেশটি সম্পর্কে সংগ্রহ করেছেন দারুণ সকল মুহূর্ত ও স্মৃতি। যার প্রমান পাওয়া যায় তার ফেসবুকের পোস্ট থেকেই।

বিজ্ঞাপন

দেশে আসার পর থেকেই স্ত্রী টিং এর সঙ্গে ঐতিহ্যপূর্ণ পুরান ঢাকা থেকে শুরু করে আলিশান গুলশান এলাকা, গোছানো চট্টগ্রাম সবখানেই স্বতঃস্ফূর্ত বিচরণ ছিল তার। পুরান ঢাকার নীরব হোটেলের হরেক পদের ভর্তা-ভাত কিংবা ফুটপাতের দোকানের গরম সমুচা, সিঙ্গারা, জিলাপি সবকিছুর স্বাদেই বিমোহিত ছিলেন জেমস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/05/1549355339578.jpg

বিজ্ঞাপন

খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও, জেমস ও টিং এর সঙ্গে সরাসরি কুশল বিনিময় করার সুযোগ হয়েছিল। আলাপচারিতা শেষে জানতে চেয়েছিলাম, ‘বাংলাদেশে এসে কেমন লাগছে আপনার’? উত্তরে স্বভাব সুলভ হাসিটাকে আরও কিছুটা প্রশস্ত করে উত্তর দিয়েছিলেন তিনি, ‘খুব ভালো। সবাই এতো আন্তরিক আর বন্ধুপরায়ণ! আর এখানের খাবারগুলোও খুব মজাদার। আমি খুব আনন্দ পাচ্ছি’।

তাড়া থাকায় আলাপচারিতা গল্পের দিকে গড়াতে পারেনি। তবে তার সেদিনের অনুভূতিটুকুর প্রতিফলন পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে জেমসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজের পোস্ট থেকে। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘অসাধারণ বাংলাদেশ। এখানের প্রতিটি খাবার ও অভিজ্ঞতা আমাকে এই দেশে আবারো ফিরে আসার প্রতি প্রত্যয়ী করে তুলছে। আড়াই সপ্তাহে একবারের জন্যেও খারাপ খাবার খেতে হয়নি’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/05/1549355539027.jpg

এমনকি অন্যান্য ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্যেও তিনি লিখেছেন, ‘যদি আপনি ২০১৯ সালে ভ্রমণের জন্য চমৎকার কোন জায়গার খোঁজ করেন, তবে বাংলাদেশকে তালিকায় রাখুন। অবিশ্বাস্য খাবার, আতিথিয়তা, সংস্কৃতি এবং দারুণ নিরাপদ ও আনন্দায়ক স্থান। আমরা অবশ্যই আবারো ফিরে আসবো’।

তার এই উচ্ছ্বাসের মাত্রা এতটুকুও কমেনি বাংলাদেশ ছাড়ার পরেও। ঘণ্টাখানেক আগে ফেসবুক পেইজের পোস্ট থেকেই যা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে অবস্থানকালীন সময়ে তার বন্ধু ও ‘অশ্রুত’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট শিমন ও শিমনের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের আতিথেয়তায় আমি বিহ্বল। আমি খুবই আনন্দিত যে আমরা (তিনি ও স্ত্রী) বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করেছিলাম, এটা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। আমার বন্ধু শিমনকে ধন্যবাদ তার পরিবারের সঙ্গে বাসায় তৈরি খাবারের জন্য। রান্না ও মাছ খুবই মজাদার ছিলো। খাবার খেয়ে আমাদের পেট একদম ভরে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে গল্প করতে পেরে এবং একসাথে খাবার খেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। সবাই খুব বেশি বন্ধুত্বপরায়ণ এবং খাবার খুবই মজাদার। আমার সাথেই থাকুন বাংলাদেশের আরও চমৎকার ভিডিও দেখার জন্য, যেগুলো আমি এখন এডিট করছি’।

জেমসের পোস্টের সূত্রতা ধরেই যোগাযোগ করা হয় শিমনের সঙ্গে। জেমসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে অসাধারণ মানুষ! বাংলাদেশের খাবারের প্রেমে পড়েছেন। সাথে বাংলাদেশের মানুষেরও। জানিয়েছেন যে আবারো আসতে এখানে আসতে চান তিনি’।

আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার 'ট্রেভর জেমস' এখন বাংলাদেশে