সন্তানকে বলুন আপনার ব্যর্থতার গল্পটি
প্রতিটি মানুষই তার শৈশব, কৈশোর, যৌবন পেরিয়ে একজন পূর্ণ বয়ষ্ক মানুষে পরিণত হয়।
আর এই দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার সময় ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে। কখনো এই ব্যর্থতার গ্লানি কাউকে করে তোলে বিপথগামী। অনেকে বেছে নেয় আত্নহননের পথও।
সন্তান যেনো কোন ব্যর্থতায় বিপথগামী না হয়, সেক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা অনেকখানি। তার জন্য পরিবারে এমন আমেজ তৈরী করতে হবে যেনো পরিবারের সবাই একে অপরের বন্ধু, একে অপরের বিপদের সঙ্গী হয়ে ওঠে। কোন ব্যর্থতাই যেনো বড় কোন বিষয় হয়ে না দাঁড়ায় জীবনের পথে। আর এই কাজে সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন একজন বাবা।
প্রত্যেক বাবার উচিত সন্তানদের সাথে তাদের জীবনের ব্যর্থতার গল্প করা। গল্পগুলো হতে পারে- কিশোর বয়সে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবার, হতে পারে প্রিয়জনকে না পাবার গল্প কিংবা সেই প্রিয়জনকে আগলে না রাখতে পারার ব্যর্থতা। ব্যর্থতা হতে পারে জীবনের লক্ষ্যে না পৌঁছাবার কিংবা পছন্দের কিছু করতে না পারার। আবার হতে পারে অন্য যেকোন ব্যর্থতার গল্প।
তবে অবশ্যই গল্পগুলোর শেষে একটা শিক্ষণীয় দিক তুলে ধরতে হবে। যেখান থেকে সন্তান তার বাবার বলা গল্পটির মাধ্যমে শিক্ষা পাবে, বুঝতে শিখবে, ব্যর্থতার পরেও জীবনকে সুন্দর করে সাজানো যায়।
একজন সন্তান যখন এমন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে বড় হবে তখন তার জীবনে আসবে আমূল পরিবর্তন। ব্যর্থতার কারণে সে যখন আশেপাশের মানুষের কাছে অকৃতকার্য হিসেবে গণ্য হবে, তখনও যে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে পারবে। বিষণ্ণতা কাজ করবে না তার মাঝে। বরং ব্যর্থতা থেকেই বেছে নিবে নতুন কোন পথ, যেখানে সে সাফল্যের দেখা পাবে।
আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন!
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদে বাড়বে স্মৃতিশক্তি