কফির পরিবর্তে চা পানে যা ঘটতে পারে!
অফিসে ভীষণ কাজের চাপে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে তুমুল আড্ডায় উষ্ণ পানীয়ের পেয়ালা হাতে থাকা যেন অনেকটাই বাধ্যতামূলক বিষয়।
এই উষ্ণ পানীয় হতে পারে সুঘ্রাণযুক্ত কফি কিংবা দারুণ রঙ ছড়ানো লাল চা।
অনেকেই চা থেকে কফি পানের দিকে আগ্রহী হন। ঠিক একইভাবে কফি থেকে চা পানের দিকে ঝুঁকে যান অনেকেই। কফি পানের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে কিংবা একেবারেই বাদ দিয়ে লাল চা বা গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তোলার সময়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় শরীরে ও মনে।
দাঁতের রঙ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে
কফি পানের ফলে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হলো, দাঁতে দাগ পড়ে যাওয়া। কফি থেকে চা পানের দিকে ঝুঁকলে দাঁত আগের তুলনায় অনেকটা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। বিশেষত যদি গ্রিন টি পান করা হয়।
কমতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা
অনেকেই এক্সপ্রেসো কফি পান করতে পছন্দ করেন না বলে আনফিল্টার্ড কফি পান করেন। কিন্তু আনফিল্টার্ড কফি পানের ফলে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে কফি থেকে ব্ল্যাক টি কিংবা গ্রিন টি পান করা শুরু করলে কোলেস্টেরলের সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে না।
দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা
প্রতিদিন কতটা ক্যাফেইন গ্রহণ করা হতো এবং একেবারে সম্পূর্ণ ক্যাফেইন গ্রহণ বাদ দিয়ে দিচ্ছেন কিনা- এই দুইটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ‘ক্যাফেইন উইথড্রওয়াল সিন্ড্রোম’ দেখা দিতে পারে। শরীর ক্যাফেইনের মাত্রার তারতম্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ধাপে মাথাব্যথার সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
বুক জ্বালাপোড়া কমতে পারে
কফিতে থাকা ক্যাফেইন খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর মাঝের পেশীকে প্রশস্ত করে দেয়। ফলে পাকস্থলিস্থ অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে আসে। যা থেকে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। কফির পরিবর্তে চা পানের ফলে এই সমস্যা দেখা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও চায়ে ক্যাফেইন রয়েছে, তা খুবই স্বল্প মাত্রায়।
বৃদ্ধি পেতে পারে ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভবনা
বেশ কিছু গবেষণার ফল জানায়, প্রতিদিন স্বল্প পরিমাণ কফি পানের ফলে ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভবনা হ্রাস পায়। যদিও এক্ষেত্রে যথাযথ ব্যাখ্যা ও তথ্যউপাত্ত গবেষকেরা দেখাতে পারেননি। কিন্তু অনেক গবেষকেরা দাবি করেন, কফি রক্তে ইনস্যুলিন সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি করে, যার ফলে টাইপ-২ ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা।
বদলে যেতে পারে মন-মেজাজের ধরণ
গবেষণা জানাচ্ছে, কফিতে থাকা ক্যাফেইন ডিপ্রেশনের মাত্রা কমাতে ও মন-মেজাজ উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। হার্ভার্ডের এক গবেষণার ফল থেকে জানা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন দুই বা ততোধিক কাপ কফি পান করলে তার মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা অন্যান্যদের তুলনায় কমে যায় প্রায় অর্ধেক। তাই হুট করে কফি থেকে চায়ের দিকে ঝুঁকে গেলে মন-মেজাজে বড়সড় পরিবর্তন দেখা দিতেই পারে।
আরও পড়ুন: পৃথিবী বিখ্যাত পাঁচ ব্যয়বহুল কফি!
আরও পড়ুন: কতটা উপকারী প্রিয় পানীয় কফি?