‘বাবল বয়’ রোগ সারাতে এইচআইভি!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্লাস্টিক চেম্বারে ডেভিড, ছবি: সংগৃহীত

প্লাস্টিক চেম্বারে ডেভিড, ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানিয়েছেন, আটজন নবজাতকের ইমমিউনোডেফিসিয়েন্সি (Immunodeficiency) রোগ সারাতে এইচআইভি (HIV) ব্যবহার করা হয়েছে। ইমমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোমে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।

এই রোগটির পোশাকি নাম হলো ‘বাবল বয়’ ডিজিজ। ১৯৭১ সালে জন্ম নেওয়া ডেভিড ভেটরের শারীরিক অবস্থা থেকে রোগটির এমন নামকরণ করা হয়। জন্মের মাত্র ২০ সেকেন্ড পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে প্লাস্টিক আইসোলেশন চেম্বারে স্থানান্তর করে দেয়। যেখানে ভেটরকে কাটাতে হয় টানা ছয় বছর।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে নাসা থেকে তাকে স্পেশাল স্পেস স্যুট দেওয়া হয়। বোন ম্যারো ট্রান্সফার অস্ত্রোপচার অসফল হওয়ায় ইমমিউনোডেফিসিয়েন্সিতে আক্রান্ত ভেটর মাত্র ১২ বছর বয়সে মারা যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555642537317.jpg
বাবল বয় রোগে আক্রান্ত ডেভিড ভেটর।

 

বিজ্ঞাপন

বাবল বয় রোগ ভালো করতে এইচআইভি ব্যবহারের গবেষণার তথ্যাদি প্রকাশিত হয় মার্কিন যুক্তরাজ্যের জার্নাল অব মেডিসিনে এবং গবেষণাটি করা হয় টেনেসি হসপিটালে।

যে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের কোন ক্ষমতাই ছিল না, তারা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বেঁচে আছে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরোপুরি সচল।

বাবল বয় রোগে আক্রান্ত শিশুদের সম্পূর্ণরূপে জীবাণুমুক্ত স্থানে রাখতে হয়। এমন রোগে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত নবজাতক অবস্থাতেই মারা যায়।

রোগটির চিকিৎসা জিন থেরাপিতে জন্মের পরপরই শিশুদের অস্থি মজ্জা সংগ্রহ করার মাধ্যমে শুরু হয়। পরবর্তীতে তাদের ডিএনএর ত্রুটি ঠিক করা হয়। ঠিক করা জিনটি এইচএইভির অল্টার্ড ভার্সনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই এইচএইভি ভাইরাস থেকেই সৃষ্টি হয় মরণব্যাধি এইডসের।

গবেষকেরা জানান, বেশিরভাগ শিশুদের চিকিৎসা সেবা নেওয়ার এক মাসের মাঝেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গবেষণার প্রধান লেখক সেইন্ট জ্যুড হসপিটালের ডাঃ ইউলিনা মামকার্জ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের রোগীরা এখন একেবারেই শিশু। তাদের শরীর এই ভ্যাকসিনে খুব ভালোভাবা সাড়া দিয়েছে। সাধারণ জীবনযাপন ও দুনিয়া আবিষ্কারের জন্য তাদের ইনফেকশনের বিপক্ষে সুরক্ষার প্রয়োজন’।

বাবল বয় রোগের আক্রান্ত শিশুদের মেমফিজের সেইন্ট জ্যুড চিলড্রেনস রিসার্চ হসপিটাল এবং সান ফ্রান্সিসকোর ইউসিএসএফ বেনিওফ চিলড্রেনস হসপিটালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

এই চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি বোন ম্যারো ট্রান্সফারের চিকিৎসা পদ্ধতিও রয়েছে বাবল বয় রোগের জন্য। তবে এতে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা অকার্যকর হয় নানাবিধ কারণে।

আরও পড়ুন: শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষও পরিচালনা করবে রোবট!

আরও পড়ুন: আবিষ্কৃত হলো চিকন থাকার ‘রহস্য’