হিমশিম খাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে?
আচ্ছা বলুন তো, প্রতিদিন আপনি ঠিক কতগুলো সিদ্ধান্ত নেন?
সেটা হতে পারে একদম ছোট থেকে অনেক বড় কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত। জেনে বিস্মিত হবেন, গড়ে প্রতিদিন একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ ৩৫,০০০টি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন!
যদিও এর বেশীরভাগই একদম ছোট ও তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত। যেমন: অমুক সাইটের লিংকটি খোলা হবে কিনা, এই সময়ে কফি পান করবো কিনা, আরও এক চামচ ভাত বেশি খাবো কিনা!
তবে সকল সিদ্ধান্তই এমন ছোটখাটো হয় না। কিছু বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে নিজের জীবনের পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এই সিদ্ধান্তগুলো হুট করে খেয়াল খুশি মতো নেওয়া সম্ভব নয়। ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা করবেন নাকি ফিক্সড ডিপোজিট করবেন- এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে নির্ভর করবে অনেক কিছুই।
গুরুত্বপূর্ণ ও বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই বিচলিত বোধ করেন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি সাধারণ বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে পারলে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
ভালো ও খারাপ দিক বিবেচনা করে মানভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া
যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছেন, সেটার পূর্ণ বিবরণ লিখে তার ভালো ও খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে ভেবে এক এক করে লিখে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভালো ও খারাপ দিকের বিবেচনায় প্রায়োরিটিকে স্থান দিতে হবে সবার আগে। এভাবে তালিকা তৈরিতে চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে, সিদ্ধান্তের পক্ষে যাওয়া ঠিক হবে কিনা।
ভবিষ্যতকে দেখার চেষ্টা করা
বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খুবই জরুরি। ঝোঁকের বশে নয়, নিজেকে নির্ধারিত স্থানে কল্পনা করে তবেই সিদ্ধান্তের পথে এগুতে হবে। ভবিষ্যৎ স্থানে যদি নিজেকে বসাতেই না পারেন তবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বোকামি। হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেও তার স্থায়িত্ব থাকবেনা একেবারেই।
অভিজ্ঞ কারোর সাথে আলোচনা করা
বড় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভিজ্ঞ কারোর পরামর্শ সবসময়ই সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন: ধরুন আপনি চাকরির ক্ষেত্র পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন, ব্যাংকিং সেক্টর থেকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন এমন কারোর সাথে আলোচনা করুন। জানার চেষ্টা করুন এই সেক্টরে কাজ করার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। কতটা উন্নতি করা সম্ভব এখানে কাজ করে। একইসাথে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ব্যাংকারের সাথেও এই বিষয়ে কথা বলুন। দুজনের অভিমত থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।
নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার আগে নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় নিতে হবে। চারপাশের সকল কিছু ভেবে ও হিসেবনিকেশ করে তবেই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে। এছাড়া সময়ের ফলে ইচ্ছাতেও পরিবর্তন আসতে পারে। সে সময়টুকু নিজেকে দিতেই হবে।
আরও পড়ুন: শিখতে হবে ‘না’ বলা!
আরও পড়ুন: কীভাবে হবেন আত্মবিশ্বাসী?