কোলাজেন সমৃদ্ধ পিনাট বাটারে ত্বকের তারুণ্য
কোলাজেন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে কাজ করে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মানবশরীরের কোলাজেনের মাত্রা কমে যেতে থাকে। যার ফলস্বরূপ চেহায়ার দেখা দেয় বার্ধক্যের ছাপ। চেহারার মাঝে তারুণ্যের ভাব ধরে রাখার জন্যে ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডস কোলাজেন পিনাট বাটার প্রতিষ্ঠানটি বাজারে এনেছে অভিনব এক পণ্য, কোলাজেন সমৃদ্ধ পিনাট বাটার। বিস্ময়কর হলেও যা একেবারেই সত্যি। এমনকি এই পিনাট বাটার গ্রহণকারী ক্রেতারাও জানাচ্ছেন, এই বিশেষ পিনাট বাটার গ্রহণ করে তারা উপকার পেয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে স্যান ফ্রান্সিস্কো ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ড. দেবীকা আইসক্রিমিওয়ালা বলেন, মানব দেহে বিদ্যমান সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রোটিন হলো কোলাজেন। একটা সময় পরে শরীরে কোলাজনের উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পরে ও ত্বকে ভাজ দেখা যায়।
ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডস কোলাজেন পিনাট বাটারের সহ প্রতিষ্ঠাতা এরিকা ওয়ালস এবং কেলি টেলসন জানান, ত্বক, চুল, নখের পাশাপাশি পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে কোলাজেন।
কিন্তু এই কোলাজেন শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। কোনভাবে এই কোলাজেন গ্রহণ করলে সেটা কার্যকর হওয়ার কথা নয় বলে দাবি করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা।
তবে কোলাজেন সমৃদ্ধ পিনাট বাটার গ্রহণ করে উপকার পেয়েছেন এমন একজন বলেন, 'আমার বেলায় কিন্তু ব্যাপারটা একেবারে ভিন্ন। আমি কোলাজেন পিনাট বাটার খেতে শুরু করি। এর কিছুদিন পর আমি ত্বকে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। আমার কাছে এটি খেতে বেশ ভালো লেগেছে এবং আমার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।'
২০১৫ সালের একটি বিশেষজ্ঞ দল তাদের গবেষণায় দেখান, কোলাজেন গ্রহণের ৮ সপ্তাহের মধ্যে এটি ত্বকের হাইড্রেশন ও কোষের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় কোলাজেন সমৃদ্ধ পিনাট বাটার তৈরি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, তাদের তৈরি এই পিনাট বাটারটি অতিরিক্ত তেল, চিনি ও ক্ষতিকারক প্রিজারভেটিভ ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে। যা ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।