ভোটে ড. কামাল আমাদের পক্ষে কাজ করে মাঠ ফাঁকা করে দিয়েছেন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন  থেকে: একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, বিএনপি বার বার ভুল করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি লোক ভাড়া করল। কাকে করলেন? আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত নেতাকে। অত্যন্ত বিদগ্ধ শিক্ষিত মানুষ। বিএনপি সেই শিক্ষিত মানুষকে ভাড়া করল, কামাল হোসেনের মত একজন ব্যর্থ চক্রান্তকারী মানুষকে ভাড়া করল। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে দাঁড় করাল। জিততে পারবেন? জিততে পারবেন না। তিনি কি করলেন আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে মাঠ খালি করে দিলেন। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিলাম। এই হচ্ছে ভাড়াটিয়া নেতার উপহার। ওরা ভাড়া করে ওদের জন্য কাজ করল আমাদের জন্য।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, উকিল আব্দুস ছাত্তারসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনে কামাল হোসেন সমস্ত মাঠ খালি করে দিলেন। আমার নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পাইনা। একজন গায়িকা দিয়েছিলেন, সেই গায়িকাকেও খুঁজে পাওয়া গেল না, গানও পাওয়া গেল না। ফাঁকা মাঠা গোল দিয়েছি। খেলা যদি ফাঁকা মাঠে হয়, কি করব? দুই দিকে গোল পোস্ট থাকে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা থাকেন ফরওয়ার্ডে, আরেক দল মাঝপথ থেকে পালিয়ে গেল, গোল তো দেবই বার বার গোল দেব।

সাবেক এই মন্ত্রী সরকারি আমলাদের কাজের সমালোচনা করে বলেন, আমলাতন্ত্রের উপর নির্ভর করে সকল সিদ্ধান্ত নিলে ঠিক হবে না। এমপিদের প্রাধান্য দিয়ে করতে হবে। আমরা হচ্ছি রাজনৈতিক সরকার। যে যত বড় আমলা সে তত ফাইল আটকে রাখে। আমলাতন্ত্রের মধ্যে কিছু আছে তারা দীর্ঘদিন সরকারকে বিব্রত করার জন্য সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কাজ করছে। সারা দেশে ব্যাংকিং সেক্টর সচিবালয় সর্বত্রই জামায়াত শিবির বসে আছে। এই স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা শিকড় গেড়ে বসে আছে।  এরা চায় সব সময় আওয়ামী লীগের ব্যত্যয় ঘটাতে।

ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা নিয়ে বলেন, আমরা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কষ্ট পাই আমাদের সরকারের আমলে ব্যাংক সেক্টর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবের সময় থেকে বলা হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেল। ঋণ খেলাপিদের কেনো ছাড় দেওয়া হল। এই ঋণ খেলাপিদের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নেই ওঠে না।

সাবেক এ মন্ত্রী ঋণ খেলাপিদের ছাড় না দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কিছু কিছু ব্যবসায়ী ব্যাংকের মালিক, গার্মেন্টেসের মালিক, ওষুধ কোম্পানির মালিক, এমনকি তারা সংবাদপত্রের মালিক। এই ধরনের বহুবিধ বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আছে। তারা সব ব্যাপারে অভিজ্ঞ। তারা আজকে সরকারি দলে ঢুকে ক্ষমতাসীন হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা আমাদের বন্ধু হতে পারে না। এই সংসদ হবে রাজনৈতিক নেতাদের সংসদ। যারা রক্ত দিয়ে ঘাম দিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই ব্যবসায়ীরা যারা কোনোদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে নাই, কোনোদিন রাজপথে লড়াই করে নাই। এরা কারা এদের সবাইকে চিনি। এরা হচ্ছে সুখের পায়রা। বিপদের সময় খুঁজে পাওয়া যাবে না। এরা পালিয়ে গেছিল ১/১১ -এর সময়। যখন বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়েছিল মানুষ পুড়ে মারছিল তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নাসিম বলেন, এখন দেশে পত্রিকার দিকে তাকালে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দিকে তাকালে দেখা যাবে নেত্রীর কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে। এরা দুই দিকেই সুবিধা নেয়। ওদিকেও সুবিধা নেয়, এদিকেও সুবিধা নেয়।

বিএনপি’র সমালোচনা করে বলেন, বগুড়ার দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার বলেছেন নির্বাচন নাকি অবাধ হয় না। ইভিএম নিয়ে কথা বলেছেন অথচ সেই ইভিএম-এ ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। বিজয়ী সিরাজ বলেছে ইভিএম ঠিকমত চললে নাকি ডাবল ভোট পেত। আসলে বিএনপি এ ধরনের অসত্য কথা বলায় চ্যাম্পিয়ন।

এ সময় রসিকতা করে একটি গানের কয়েক কলি শোনান তিনি। নাসিম বলেন, এই গানটা  মতিয়া চৌধুরী ভাল জানেন। ভুল সবই ভুল জীবনের পাতায় পাতায় ভুল। জীবনের পাতায় পাতায় ভুল। বার বার ভুল করেছে। ২০১৪ সালে একবার ভুল করল, নির্বাচনে না এসে।  আবার নির্বাচন  আসল ২০১৮ সালে, আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত লোক ভাড়া করে।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;