ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ হিয়ারিং কেয়ার এন্ড স্পিচ থেরাপি সেন্টার যাত্রা শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট , বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রবণশক্তিকে দৃঢ় এবং বাকশক্তি স্বাভাবিক করতে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ হিয়ারিং কেয়ার এন্ড স্পিচ থেরাপি সেন্টার।

সোমবার (১ জুলাই)  রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত হ্যাপী আর্কেড শপিং মলের ২য় তলায় (সিটি কলেজ সংলগ্ন) স্থানীয় কাউন্সিলর জাকির হোসেন স্বপন এই থেরাপী সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, এই হিয়ারিং এন্ড স্পিচ থেরাপি সেন্টারে আগত ধানমন্ডির বাসিন্দাদের তালিকা প্রণয়ন করে দিবেন। আমরা সরকারের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিবো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হিয়ারিং কেয়ার এন্ড স্পিচ থেরাপি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহানা শারমিন তানফি বলেন, দেশে এমন শিশুদের জন্মের হার ১৮.৫℅। যদিও আন্তর্জাতিক পরিমান থেকে আমাদের দেশে এই হার কিছুটা কম। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই হার ২০℅ তে গিয়েও পৌছায়। তিনি আরো বলেন, প্রসবকালীন সময়ে নবজাতকের অক্সিজেনের অভাব, প্রসবের জন্য অতিরিক্ত সময়ের অপেক্ষা করা, বংশগত সুত্র এবং গর্ভাবস্থায় মায়ের হামসহ বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে শিশুরা এমনসব সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।

উন্নত চিকিৎসা পেলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব উল্লেখ করে ফারহানা শারমিন বলেন, হিয়ারিং সেল ড্যামেজের উপর নির্ভর করে শিশুদের চিকিৎসা। তবে নিয়মিত চিকিতসা এবং থেরাপির মাধ্যমে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শ্রবণশক্তি দৃঢ় করার পাশাপাশি এখানে ব্যতিক্রমধর্মী শিশুদের গন্ধ, স্বাদসহ নানা ধরনের অনুভূতি স্বাভাবিক করতে অকোপেশনাল এন্ড সেন্সর ইন্ট্রিগেশন থেরাপি, ফলিত আচরণ বিশ্লেষণ ( ABA) থেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে। যার মাধ্যমে অটিজম, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত, অতিচঞ্চলতা বা অমনোযোগীতার বিকৃতি (ADSD), মস্তিস্কে পক্ষাঘাতগ্রস্ত (সেরেব্রাল পালসি) বাচ্চাদের প্রথাগত এবং প্রশাসনিক শিক্ষা প্রদান করা, ক্রীয়াশীল এবং স্বাভাবিক করার জন্য থেরাপি প্রদান করা হয়।

   

'শিশু স্নায়ুরোগীদের বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে বিএসএমএমইউ'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিশু স্নায়ুরোগীদের বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে বিএসএমএমইউ

শিশু স্নায়ুরোগীদের বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে বিএসএমএমইউ

  • Font increase
  • Font Decrease

'শিশু স্নায়ুরোগীসহ সকল বিভাগে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বর্তমান প্রশাসন বেশ মনোযোগী। শিশু স্নায়ুরোগীদের সেবার জন্য বিশ্বে যে ধরনের সেবা দেয়া হয় সেটিও এখানে দেয়া হচ্ছে। সামনে আরও উন্নতমানের সেবা দেবার লক্ষ্যে কাজ চলছে।' 

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিএসএমএমইউয়ে শিশু স্নায়ুরোগের সেবায় ইএমজি সেবা ও নিউরো-মাসকুলার ডিজঅর্ডার ক্লিনিক উদ্বোধনকালে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আজ ইনিস্টিটিউট-অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ইপনায় সেবা নিতে আসা বিশেষ শিশুরা বেশ সংবেদনশীল। তাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা যেমন বিশেষ শিশুদের যত্ন দেবেন, তার চেয়ে বেশি সেবা পরিজনদের মাধ্যমে দিতে হবে। এতে করে বিশেষ শিশুরা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। বিশেষ শিশুদের মেধার বিকাশে কাজ করছে ইপনা।' 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজী বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিকটি চালু করার মাধ্যমে শিশু স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য নতুন একটু দ্বার উন্মোচিত হলো।

প্রসঙ্গত, নার্ভ কনডাকশন স্টাডি (এনসিএস) ও ইলেকেট্রোমায়োগ্রাম (ইএমজি) পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্নায়ুরোগ ও মাংসপেশির রোগ শনাক্ত করনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

অনুষ্ঠানে ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. সাঈদা তাবাস্সুম আলম, সহকারি অধ্যাপক ডা. বিকাশ চন্দ্র পাল, সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজিদা আহমেদসহ বিভাগের সকল ফ্যাকালটি ও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

;

স্বাস্থ্য ক্যাডারে স্থায়ী হলেন ৪৩৮ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছে ৪৩৮ জন। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ৪২০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৮ কর্মকর্তার চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-২ অধিশাখার  উপসচিব কমল কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ এর বিধি ৭ মোতাবেক বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী সার্জন পদের ৪২০ কর্মকর্তার চাকরি তাদের নামের পাশে বর্ণিত তারিখ থেকে স্থায়ী করা হলো।

অপর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ এর বিধি ৭ মোতাবেক বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদের ১৮ কর্মকর্তার চাকরি তাদের নামের পাশে বর্ণিত তারিখ থেকে স্থায়ী করা হলো।

 

;

ই-সিগারেট পুরোপুরি নিষিদ্ধের দাবি বিশিষ্টজনদের 



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে প্রধানত নগরাঞ্চলের কিশোর-তরুণরাই ই-সিগারেট ব্যবহার করছেন। তাই ভ্রান্ত ধারণা আর উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের ফলে দ্রুতই এই বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনিতেই তামাক ব্যবহারের হারের বিচারে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি। এর মধ্যে আরও একটি নতুন তামাক পণ্যের প্রাদুর্ভাব আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা একান্ত জরুরি বলে মনে করেন দেশবরেণ্য চিকিৎসক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, এবং তামাক-বিরোধী সামাজিক সংঠনের অংশীজনরা।

সোমবার (২০ নভেম্বর ২০২৩) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘ই-সিগারেটের ভয়াবহতা ও আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঝুঁকি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন অংশগ্রহণকারিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনলাইন আলোচনায় সম্মানিয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ড. এবিএম আব্দুল্লাহ।

প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজি ও রিসার্চ বিভাগের প্রধান ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, এবং জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। আলোচনার শুরুতে উন্নয়ন সমন্বয়ের তৈরি একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ই-সিগারেটে থাকা নিকোটিন ও অন্যান্য রাসায়নিকের ধোঁয়া সেবনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং বিশেষ করে আগামী প্রজন্মের নাগরিকদের ওপর ই-সিগারেটের সম্ভাব্য কুপ্রভাব তুলে ধরা হয়।

ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ই-সিগারেট এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত করা হচ্ছেনা। তবে ক্রমেই এটি যুবসমাজের জন্য বড় হুমকি হয়ে ‍উঠছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ই-সিগারেটের ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-সিগারেট আমদানির যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তাকে বড় দুর্ভাবনার বিষয় বলে মনে করেন ড. আতিউর। তামাক কোম্পানিগুলো সচরাচর জনস্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে বাণিজ্যিক লাভালাভকেই মূল বিবেচনায় রেখে থাকে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী তার বক্তব্যে ই-সিগারেট-সহ সকল তামাক পণ্য ব্যবহারে শিশু-কিশোরদের নিরুৎসাহিত করতে স্কুল পর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম, এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। ই-সিগারেট ব্যবহারের ক্ষতি সাধারণ সিগারেটের ক্ষতির চেয়ে কম- এমন একটি বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিশোর-তরুণদের হাতে হাতে ই-সিগারেট তুলে দিয়ে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে বলে জানান ড. সোহেল রেজা চৌধুরী। বাংলাদেশেও যেন এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে এখনই বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ড. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, বিদ্যমান তামাক ব্যববহারকারিদের একটি বড় অংশই তরুণ। আর নতুন ও আকর্ষণীয় পণ্য হিসেবে ই-সিগারেটের প্রতিও এদের আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলশ্রুতিতে ই-সিগারেটের নিকোটিনে মাধ্যমে এই তরুণদের বিপদজনক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট পুরোপুরি নিষিদ্ধের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারিরা। উল্লেখ্য, ভারত ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ২৩টি দেশে ইতোমধ্যেই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।

;

সার্বজনীন স্বাস্থ্যবীমা বাস্তবায়নের দাবি ড. আতিউরের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান

ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে একটি সার্বজনীন স্বাস্থ্যবীমা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। শনিবার রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ট্রাষ্ট আয়োজিত মোবাসসার মেমোরিয়াল আলোক নিবাস-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই দাবি জানান তিনি। 

ড. আতিউর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা সমাজে বাঁচি শুধু নিজের জন্য না, আমরা বাঁচি সবার জন্য। রবীন্দ্রনাথ বলতেন, সমাজ যদি সচেষ্ট হয়, অর্থ সমাজ নিজে যদি উদ্যোগী হয়, তাহলে সেই সমাজ চলতে থাকে। সেই সমাজ আরও নিরন্তর উন্নয়ন করতে থাকে। সেটাই টেকসই। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু সমাজ টিকে থাকে। যদি আমরা সমাজে সেই শক্তিটা জ্বালিয়ে দিতে পারি।’

দূরারোগ্য ব্যাধির ঝুঁকিতে থাকা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিবেচনায় সার্বজনীন স্বাস্থ্যবীমার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে আতিউর রহমান বলেন, ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্যবীমা খুব প্রয়োজন। মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত কেউ যদি বড় অসুখে ধাক্কা খান সেই ধাক্কা মোকাবেলা করবার জন্য শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে হয়তো তিনি সামলাবেন কিন্তু পরবর্তীতে তার সন্তানরা কিভাবে বেঁচে থাকবেন? ভবিষ্যতে সরকার-সমাজ এবং বাজার সবাই মিলে একটি উন্নত ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই যাতে একেবারে যারা সাধারণ মানুষ তাদের যাতে আমরা এই পদ্ধতির মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।’

https://imaginary.barta24.com/resize?width=700&quality=75&path=uploads/news/2023/Nov/12/1699804643948.jpg

সমাজ ও পরিবারের সহানুভূতি প্রতিটি মানুষের জীবনে খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘জীবনের নানা সংগ্রামে, বিশেষ করে দুঃখের দিনগুলিতে সমাজ-পরিবার পাশে থাকে। আর সবাই চলে যায়। সেইজন্য আমরা দিনশেষে পরিবারেই ফিরে যাই এবং পরিবার যেভাবে অনুভব করে অন্য আর কেউই সেভাবে অনুভব করে না। আমরা যদি সেই আত্মীয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করি তবেই সামাজিক পুঁজি আরও বাড়তে থাকবে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘সম্পদ নিয়ে যাদের দুশ্চিন্তা আছে, যাদের সম্পদ ছেড়ে দিলেও অসুবিধে হবে না, তারা কেন দেবেন না মানবিক কাজে? এক্ষেত্রে সরকারেরও রাজস্ব প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ আছে। এধরণে সেবা প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশনে অনুদান দেবেন তাদের যেন সরকার কিছু সুবিধা বা কর ছাড় পাবেন এমন যদি নিয়ম করা যায় তবে অনেকেই এরকম কাজে এগিয়ে আসবে।’

বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতির প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক আতিউর রহমান সামাজিক পুঁজি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘মোসাব্বির আলোক নিবাসে এসে কতগুলি সম্ভাবনার কথা আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। আমরা যদি একে আরও বড় করতে চাই, তবে সবাইকে হাত মেলাতে হবে। একা মানুষ টুকরো মাত্র। সবাই মিলে হাত দিলে তবেই বড় কাজ হয়। একেই বলে সামাজিক পুঁজি।’


‘আর্থিক পুঁজি যত ব্যবহার করবেন ততো কমবে। কিন্তু যদি সামাজিক পুঁজি…হাতে হাত মেলানোর যে পুঁজি এই পুঁজি যদি আমরা বেশি ব্যবহার করি তবে এটি আরও বাড়বে। এটিই এই পুঁজির ধর্ম। রবীন্দ্রনাথ বলছেন, একা খেয়ে পেট ভরে, পাঁচ জনে মিলে খেলে আত্মীয়তা বাড়ে’-যোগ করে ড. রহমান।

বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক নাজমুস আহমেদ আলবাব, ট্রাস্টের সভাপতি আনিস এ খান ও সিঙ্গাপুরের পার্কওয়ে ক্যান্সার সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. ফ্রেডি টিও অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। এসময় ট্রাস্টকে সহযোগিতা দেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;