নবীর আদর্শই শান্তির উৎস



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নবীর আদর্শই শান্তির উৎস, ছবি: সংগৃহীত

নবীর আদর্শই শান্তির উৎস, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪৪০ হিজরি সনের ১২ রবিউল আউয়াল আজ। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে মক্কার কোরাইশ বংশে বাবা আব্দুল্লাহ ও মা আমেনার ঘরে জন্মলাভ করেন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ইসলামের সুমহান দ্বীন প্রচার শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ দিনেই তিনি আল্লাহ প্রদত্ত রিসালাতের সব দায়িত্ব পালন শেষে আল্লাহতায়ালার ডাকে সাড়া দিয়ে মাওলার সান্নিধ্যে গমন করেন।

তাই তারিখ হিসেবে আজ বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। এ জন্য দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের মুসলমানেরা প্রতি বছর ১২ রবিউল আউয়াল দিনটি পালন করেন হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শকে স্মরণে এনে এবং সে আদর্শ ব্যক্তিগত, সমাজ ও জাতীয় জীবনে পালনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে।

এখন প্রশ্ন আসে, কী তার আদর্শ? উত্তর, আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে তাকে মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে কোরআনে কারিমের বর্ণনা মোতাবেক সমগ্র মানবজাতির জন্য একমাত্র যে আদর্শ জীবনবিধান আল্লাহ দিয়েছেন সেটিই তার জীবনের আদর্শ।

সার কথা হচ্ছে- নবী জীবনের শিক্ষা হচ্ছে, নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে সমূলে বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হওয়া। সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার নির্দেশিত পথে, সত্য ও ন্যায়ের পথে হাঁটাই ছিল তার জীবনের পরম আদর্শ।

তার শিক্ষা হলো- পৃথিবীর মানুষকে তার ন্যায্য মানবিক অধিকার দিতে হবে, রাজা-বাদশাহ-আমির-ফকির কেউ ছোট, কেউ বড় নয়। কেউ কারো চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কোনো অবস্থাতেই মাথা নোয়ানো যাবে না। তিনি প্রচার করেছেন, মানুষের প্রকৃত মর্যাদা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মেনে আল্লাহর নির্দেশিত পথে সারা জীবন চলার মধ্যে। মানুষ ইহকালে যে কাজ করবে, পরকালে আল্লাহর কাছে এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। যারা আল্লাহ, তার প্রেরিত আসমানি কিতাব, নবী-রাসূল এবং আখেরাতে এবং শেষ বিচারের দিনের প্রতি বিশ্বাস রেখে ন্যায় ও কল্যাণের পথে হাঁটবে, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পুরস্কার হিসেবে শাশ্বত শান্তিময় স্থান বেহেশত। তারা সেখানে মৃত্যুর পর অনন্তকাল বসবাস করবেন। যারা সত্যের পথে চলবে না, তাদের জন্য রয়েছে চরম শাস্তির চিরন্তন স্থান দোজখ।

এসব বিশ্বাসকে সম্বল করেই নবী করিম (সা.) সারা জীবন পথ চলেছেন। তার প্রতিটি কাজের লক্ষ্য ছিল মানুষের কল্যাণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। তিনি এ পথে শত্রুকে করেছেন মিত্র। আরবের অন্ধকার যুগের মানুষকে টেনে এনেছেন আলোর জগতে। তিনি মানুষের আস্থার মূল্য দিতেন। সেই সূত্রে তার সময়ের আরব দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আল-আমিন বা বিশ্বাসী নামে। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অসি হাতে যুদ্ধ করেছেন; কিন্তু অন্যায়ভাবে সামান্য আঘাতও দেননি। যুদ্ধবন্দীদের দিয়েছেন অভাবনীয় মানবাধিকার। তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘যার হাতে মানুষ নিরাপদ নয়, সে প্রকৃত মুসলমান নয়।’ তিনি আমাদের সর্বাঙ্গীণ আদর্শ। অপরাধীদের ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আমাদের তাগিদ দিয়েছেন। ওয়াদা রক্ষায় ছিলেন শত ভাগ আন্তরিক।

মুসলমানেরা যখন ইসলামের স্বর্ণযুগে তার আদর্শ ও ন্যায়ের পথে ছিলাম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তখন সাফল্য আমাদের হাতের মুঠোয় এসেছিল। যখন তার আদর্শ পালনে আমরা গাফেল হয়ে উঠতে শুরু করি, তখন থেকেই মুসলমানের পতনের শুরু। আজ তার আদর্শচ্যুত হয়ে মুসলিম উম্মাহ পতনের চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আমরা যদি তার আদর্শে ফিরে যেতে না পারি, তবে এ অধঃপতন থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা নেই।

হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেকে সমগ্র মানবজাতির আদর্শ হিসেবে আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। মানবজাতি সে আদর্শ অনুসরণ করলে আজকের দুনিয়ার অশান্তি, অনাচার, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান হতে পারে।

সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারা দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনও কোনও মসজিদে এর ভিন্নতা থাকে। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

এ পরিস্থিতি নিরসনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিবাগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব হবে। এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবির নামাজে প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই অনুরোধ করা হয়েছে।

;

রমজান শুরু কবে, জানা যাবে বুধবার



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে, তা জানা যাবে বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায়।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে কমিটির এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় হিজরি ১৪৪৪ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও মুসলমানরা রোজা রাখবেন। সে ক্ষেত্রে বুধবার রাতেই এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়বেন, রোজা রাখতে শেষ রাতে প্রথম সেহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

অন্যদিকে বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার। এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়বেন ও শেষ রাতে খেতে হবে সেহরি।

এদিকে বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ ফ্যাক্স নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

;

তৃতীয় দফায় বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দফা সময় বাড়িয়েও আশানুরূপ সাড়া না মেলায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত আরও ৯ দিন সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার বিকালে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলো।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের মঙ্গলবার বিকালের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ২৪২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৯৪১ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনও কোটার অর্ধেকের বেশি খালি রয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

পবিত্র শবে বরাত আজ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র শবে বরাত আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ)। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবে।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন।

শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমন্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিনগত রাত) লাইলাতুল বরাত বা শবে পালিত হয়। শবে বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।

;