বিশ্বের শীতলতম পাঁচ দেশ



হেলাল নিরব, কন্ট্রিবিউটর
অনেক দেশ আছে যেখানে বছরের প্রায় সময়ই তাপমাত্রা অসহ্য পর্যায়ের ঠান্ডা থাকে

অনেক দেশ আছে যেখানে বছরের প্রায় সময়ই তাপমাত্রা অসহ্য পর্যায়ের ঠান্ডা থাকে

  • Font increase
  • Font Decrease

শীতের শুরুতে বেশ কয়েক দিনের হাড়কাপানো ঠান্ডা আর সারাদিনের টুপটাপ বৃষ্টিতে আমাদের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিল। এখনো সারা দেশব্যাপী চলছে কম-বেশি শৈত্য প্রবাহ। শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ায় নানা ধরনের শীতকালীন অসুখ-বিসুখেও পড়ছে অনেকে।
তবে পৃথিবীর এমনও অনেক দেশ আছে যেখানে বছরের প্রায় সময়ই তাপমাত্রা অসহ্য পর্যায়ের ঠান্ডা থাকে। সারাদিনে সূর্যের মুখ দেখাও একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে বরফ। তেমনই পাঁচটি চরম পর্যায়ের শৈত্য আবহাওয়া পূর্ণ দেশের কথা থাকছে।

অ্যান্টার্টিকা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/02/1546401237778.jpg

অ্যান্টার্টিকা পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত একটি দক্ষিণতম মহাদেশ। এটি সম্পূর্ণ দক্ষিণ মহাসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। ১৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ এ মহাদেশে জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ হাজার জনের মতো। ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র  ০.০০০০৪ জন! এ অবস্থার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়, সেখানের শীতলতম ও শুষ্কতম পরিবেশ। এখানে তাপমাত্রার সর্বনিম্ন রেকর্ড -৮৯ ডিগ্রী (-১২৯ ফারেনহাইট)! বছরে স্বাভাবিক সময়েও তাপমাত্রা থাকে -৬৩ ডিগ্রি (-৮১ ফারেনহাইট)! এমন শীতল আবহাওয়ার কারণে এ মহাদেশকে শীতল মরুভূমিও বলা হয়। এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ মিলি মিটার! এ মহাদেশে পেঙ্গুইন, সিল, বিভিন্ন শৈবাল এবং তুন্দ্রা উদ্ভিদ এমন চরম তাপমাত্রায়ও ‘সারভাইব’ করে। মজার বিষয় হলো এ মহাদেশের কোনো নিজস্ব বাসিন্দা নেই। বিভিন্ন জায়গায় গবেষণা করার জন্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন দেশের জনগণ। আরো অবাক করা সত্য হলো, এটাই একমাত্র মহাদেশ, যেখানে কোনো দেশ বা দেশের কোনো রাজধানী নেই!

কাজাখস্তান

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/02/1546401270913.jpg

পৃথিবীর নবম বৃহত্তম ও স্থলবেষ্টিত সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র কাজাখস্তান। রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করা কাজাখস্তানের আয়তন ২.৭ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার। তবে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৫.৯৪! মাত্র ১ কৌটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার এই আপেলের দেশে রাশিয়ার চেয়েও বেশি শীত পড়ে। ভৌগলিক অবস্থান, বৈরী আবহাওয়া ও অনবরত তুষারপাতের ফলে জনজীবন প্রায়ই স্থবির হয়ে পড়ে। ৭০ শতাংশ মুসলমানের এই দেশে শীতের প্রকোপে প্রায়ই মৃত্যু ঘটে অনেক বাসিন্দার।

রাশিয়া

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/02/1546401291959.jpg

রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম শীতল দেশ। এখানে বছরে  মাত্র  দুই মাসের জন্য সূর্যের মুখ দেখতে পাওয়া যায়। আর প্রায় সারাবছরই হিম শীতল ও শৈত্য আবহাওয়া থাকে। গরমকালেও এখানে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতকালে -১০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করে। বৈচিত্র্যহীন এ অঞ্চলে আর্কটিক বরফাচ্ছন্ন, উচ্চভূমি এবং সারাদিন শৈত্য প্রবাহ চলার কারণে এখানে জীবনযাপন বেশ কষ্টকর। রাশিয়ার প্রায় অঞ্চলই বছরের ৮ মাস বরফাচ্ছন্ন এবং ১০ মাস শৈত্য প্রবাহ থাকে। এখানকার সাইবেরিয়ায় সারাদিনই শৈত্য প্রবাহ ও প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়তে থাকে। বিশাল এই রাশিয়া, পৃথিবীর স্থলভাগের আট ভাগের ১ ভাগ হলেও এমন ঠান্ডা আর প্রতিকূল পরিবেশের কারণে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৮.৪ জন। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়ে হিটলারের নাৎসী বাহিনীর কামান-গোলা এখানকার তীব্র ঠান্ডায় অকেজো হওয়ার ফলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন /রাশিয়া সহজেই জার্মান সেনাদের পর্যদুস্ত করতে পেরেছিল। মজার বিষয় হলো, রাশিয়ায় গা গরম করতে গরম পোশাক পরার পাশাপাশি ভদকা (নেশা পানীয়) খাওয়া হয়।

গ্রিনল্যান্ড

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/02/1546401315640.jpg

পৃথিবীর বৃহৎ দ্বীপ রাষ্ট্রের মাঝে গ্রিনল্যান্ড অন্যতম। উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মাঝের এই দ্বীপ দেশটি ডেনমার্ক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। গ্রিনল্যান্ড/ সবুজ ভূমি নাম হলেও সেখানকার শীতকাল/ শৈত্য প্রবাহের কারণে পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন, ধূসর সাদা! ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এখানে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার মতো সূর্যের দেখা পাওয়া যায়। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ, কালো চাদরের মতো জড়িয়ে রাখে এ দেশকে। এমন প্রতিকূল পরিবেশ হওয়ায় এখানকার বিশাল আয়তনে মাত্র ৫৭,১০০ লোকের বাস। অবাক করা বিষয় হলো, নীল জলরাশির এ বিশাল দ্বীপ দেশটির প্রায় ৯০ ভাগ জায়গাই পুরো বরফে ঢাকা!

কানাডা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/02/1546401336445.jpg

উত্তর আমেরিকার উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির এ দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। কানাডার কথা বললেই ভেসে ওঠে এক অসহ্য ঠান্ডা দেশের কথা। এখানের জলবায়ু হালকা ভ্যাপসা ঠান্ডা, ভিজে কুয়াশা এবং শীতকালে প্রচন্ড ঠান্ডা, বরফাচ্ছন্ন ও শুষ্ক তুষারপাত দ্বারা আবৃত থাকে। এ বিশাল দ্বীপ বহুল রাষ্ট্রে বছরের ৮ মাসই বরফাচ্ছন্ন থাকে। রাশিয়ার জলবায়ুর মতো শৈত্য প্রবাহ ও হিম শীতল আবহাওয়া হলেও মানুষের বসবাসের জন্য অতটা অনুকূল নয়। এমন বৈরী জলবায়ুর জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ দেশ হয়েও জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে তিন কোটি। ঘনত্বের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৩.৯২ জন।

   

এরিয়া-৫১, মানুষের তৈরি অজানা রহস্য!



মোঃ শরীফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
এরিয়া-৫১

এরিয়া-৫১

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজ্ঞানপ্রেমী অথচ এরিয়া-৫১ এর নাম শোনেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যারা বিজ্ঞান ভালোবাসেন কিংবা কল্পবিজ্ঞান যাদের আকর্ষণের বিষয় তাদের কাছে রহস্যে ঘেরা এই স্থানটি সম্পর্কে জানার আগ্রহের শেষ নেই। 

আমেরিকার নেভাডা স্টেটের দক্ষিণে, লাস ভেগাস থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাহাড়ঘেরা মরুভূমির মধ্যে আছে নেভাদা টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং রেঞ্জ। আধুনিক মারণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাগার। প্রচলিত তথ্যমতে এই স্থানটিতে আমেরিকা ৫’শরও বেশি পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

আমেরিকার ভূখণ্ডে থাকা সবচেয়ে সুরক্ষিত কিছু জায়গা যেমন- পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস, নাসার সদর দপ্তর ও বিভিন্ন লঞ্চ প্যাডেও অনুমতি নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারলেও এরিয়া-৫১ এর আশপাশে মিডিয়া বা জনসাধারণের প্রবেশাধিকার একেবারেই নিষিদ্ধ। 

অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও জায়গাটিতে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর! তবে চারদিকে খোলা বলেই এই জায়গায় মন চাইলেই প্রবেশ করতে পারবেন, সে আশার গুড়ে বালি। কঠোর সিকিউরিটি ব্যবস্থা, গিরগিটির মতো ছড়িয়ে থাকা হাজারো স্বশস্ত্র সৈনিক, অত্যাধুনিক ড্রোন এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি, মোশন, সাউন্ড, লেজার ও স্মেল ডিটেক্টরসহ রয়েছে অদৃশ্যমান সিকিউরিটি ব্যবস্থাও। তাই তো নোটিশ টাঙ্গিয়ে বড় করে লিখে দেওয়া হয়েছে, Use of deadly force Authorized, যা জানান দেয়, নিষেধ সত্ত্বেও প্রবেশের চেষ্টা করলে মৃত্যু নিশ্চিত।

কিন্তু কেন এই নিরাপত্তা, কী আছে এর ভেতরে? এমন কী গবেষণা চলছে সেখানে? এরকম হাজারো প্রশ্ন আজো দানা বেঁধেছে মানুষের মনে। তবে সে প্রশ্নের উত্তর জানা কিংবা জানার চেষ্টা করা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার সামিল!

স্থানটিকে ঘিরে মার্কিন সেনাদের অস্বাভাবিক মাত্রার সুরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্ব জুড়ে সন্দেহ এবং কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকে ভেবে থাকেন, এখানে মার্কিন সরকার বিশ্বব্যাপি নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বিশেষভাবে প্রচলিত আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে থাকা প্রাণের সন্ধানে কাজ করছে এ স্থানটি। এলিয়েনদের যাতায়াতের গুজবসহ রয়েছে হাজারো কল্পনা-জল্পনা। এছাড়া শোনা যায় বিভিন্ন ধরণের এয়ারক্রাফট ও ওয়েপন সিস্টেম নিয়েই পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয় এ জায়গাটিতে। 

অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট ও ওয়েপন নিয়েই গবেষণা হয় এরিয়া-৫১ এ

১৯৮৯ সালের বব লাজার নামের একজন বিজ্ঞানী এরিয়া-৫১ এ কাজ করছিলেন বলে দাবি করেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারে স্থানটিতে এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ, ইউএফও যাতায়াতসহ অনেক রহস্যজনক তথ্য উঠে আসে। তবে সেসবের কোনো সত্যতা আজ পর্যন্ত মেলেনি।

চাঁদে অবতরণ নিয়ে মানুষের মনে যে সন্দেহ তাকে দৃঢ় করতে কাজ করে এই স্থানটি। অনেকে মনে করেন এরিয়া-৫১ এ শুটিং করে নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিনের চাঁদে অবতরণের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল! সেসব ঘটনা, মিথ্যা হোক কিংবা সত্য, এরিয়া-৫১ আজো রয়ে গেছে মানুষের জানার বাইরে। 

মানুষ আশায় আছে, কোনো একদিন হুট করে মুখ খুলবে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। জানাবে দীর্ঘ দিন ধরে চলা রহস্য গড়া এই স্থানে চলমান কীর্তিকালাপের কথা। দূর হবে মানুষের মনের শত প্রশ্ন আর জল্পনা-কল্পনা। ততদিন আড়ালেই থাকুক এরিয়া-৫১। নিজের কল্পনাশক্তি কাজে লাগিয়ে লেখকরা রচনা করুক হাজারো বই, নির্মাতারা তৈরি করুক শত সিনামা।

;

কুকুরগুলোকে তীরে পৌঁছে দিল কুমির!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানুষের মধ্যে যেমন একজনের প্রতি আরেকজনের সহানুভতি রয়েছে, ঠিক তেমনি প্রাণীদের মধ্যেও একজনের প্রতি অন্যজনের সহানুভূতি দেখানোর উদাহরণ রয়েছে। এবার একটি কুকুরে প্রতি কুমিরের সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। নদীতে আটকা পড়া কুকুরটিকে আক্রমণ করার পরিবর্তে বাঁচিয়ে দিয়েছে। ভারতের মহারাষ্ট্রে সাবিত্রী নদীতে এমন ঘটনা ঘটে। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, অল্প বয়সী একটি কুকুরকে একদল হিংস্র কুকুর তাড়া করে। কুকুরটি বাঁচার জন্য ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবিত্রী নদীতে আশ্রয় নেয়। সেই নদীতে ছিলো তিনটি বিশাল আকৃতির কুমির। কিন্তু, আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে ওই কুমিরগুলো কুকুরটিকে না খেয়ে বরং নিরাপদে তীরে পৌঁছে দেয়। 

তবে বিজ্ঞানীরা বলছে, কুমিরদের ‘সুবিধাবাদী শিকারী’ হওয়ার জন্য খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু, কুমিরের এমন কাজ কুকুর এবং কুমির একই প্রজাতির হওয়ায় কুকুরের প্রতি কুমিরের এমন আবেগিক সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।   

থ্রেটেনড ট্যাক্সা জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আশ্রয় নেয়া কুকুরটি ভেসে থাকা তিনটি কুমিরকে দেখতে পায়নি। তবে, কুমিরগুলো শিকার বলে কুকুরটির কাছাকাছি যেতে শুরু করে। 

কুমিরদের ক্ষুধা না থাকার কারণে এমন সহানুভূতি প্রকাশ পেতে পারে বলেও জার্নালে জানানো হয়। সরীসৃপদের এই ধরনের মানসিক অবস্থার উপর খুব কম গবেষণা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ভারতীয় বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউট বলছে, সুবিধাবাদী শিকারী হিসেবে কুমিরের খ্যাতি রয়েছে। কুমিরগুলো প্রায় ১৬ ফুটের মত লম্বা এবং ওজন ৪৫০ কেজি। যা অনায়েসেই কুকুরটিকে গ্রাস করতে পারতো। কিন্তু, সেটা না করে কুকুরের প্রতি কুমিরের আবেগিক সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।

;

রাস্তায় জমা পানিতে হারানো শৈশব খুঁজে পেয়েছে তারা



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জমে থাকা পানি শৈশবের উল্লাস এনে দিয়েছে তাদের মনে

জমে থাকা পানি শৈশবের উল্লাস এনে দিয়েছে তাদের মনে

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে পানি। দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। রিকশা বা ভ্যানে চড়ে কোমর সমান পানি ডিঙ্গিয়ে যাতায়াত করছে মানুষ। পানির উপর ভাসছে ড্রেন আর রাস্তার ময়লা। ময়লা-আবর্জনার সাথে রাস্তার সেই নোংরা পানিতে আপন মনে ভাসতে দেখা যায় দুই শিশুকে। এ যেন শৈশবের উল্লাস এনে দিয়েছে তাদের মনে। ভেসে আসা ড্রাম আর ককশিটকে পুঁজি করে আপন মনে খুনসুটিতে মেতেছে তারা।

জমা পানিতে উল্লাসে মেতেছে তারা

বলছি রাজধানীর নিউ মার্কেটের সামনে রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানিতে সাঁতার কাটা শিশু রাবেয়া ও মিমের কথা। ইট পাথরের শহরে বসবাসকারী শিশুরা জানে না দুপুরবেলা পুকুরে লাফালাফি করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে সাঁতারের আনন্দ। তাই তো বছরের রেকর্ড গড়া এই বৃষ্টি যেন আনন্দের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে তাদের মনে। সুযোগ পেয়ে রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানিতেই সাঁতারের সখ মেটাচ্ছিলো তারা।

খুনসুটির ব্যস্ততার মাঝে কথা হয় রাবেয়া ও মিমের সাথে। রাবেয়া জানায়, নিউ মার্কেট এলাকায় মায়ের সাথে থাকে সে। মিম তার প্রতিবেশি। এক সাথেই খেলে তারা। গ্রামে থাকতে সাঁতার শিখেছিল রাবেয়া। মায়ের সাথে শহরের এসে আর সাঁতার কাটতে পারেনি। তাই মিমকে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে সাঁতার শিখিয়ে একেই সাথে সাঁতার কাটছে তারা।

টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে পানি, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

নোংরা পানিতে সাঁতার কাটা দেখে অনেকেই শিশু রাবেয়া ও মিমের দিকে চোখ বাঁকা করে তাকালেও বাস্তবতা ভিন্ন। ইট পাথরের শহরের সুইমিং পুল কিংবা টাকা দিয়ে সাঁতার কাটার সুযোগ নেই তাদের। তাই ইচ্ছা যখন সাধ্যের কাছে জিম্মি তখন রাবেয়া মিমদের সাঁতার এই শহরের বড় সৌন্দর্যই বটে।

;

চুলের কারণে দু'বার স্কুল থেকে বরখাস্ত



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য মানুষ চুলের কতই না স্টাইল করে থাকেন। কিন্তু, সেই স্টাইল করা চুলই যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। চুলের স্টাইলের জন্য তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত হতে হয়েছে, তাও একবার নয়, দুইবার। বরখাস্ত হওয়া ছাত্রটির নাম ড্যারিল জর্জ (১৭)। সে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মন্ট বেলভিউয়ের বারবারস হিল হাই স্কুলে পড়াশোনা করে। সিএনএন, এনবিসির বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মন্ট বেলভিউয়ের বারবারস হিল হাই স্কুলের ছাত্র ড্যারিল জর্জকে চুলের স্টাইলের (ড্রেডলকস স্টাইল) জন্য দুইবার স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, এই স্টাইলে প্রথমবার স্কুলে যাওয়ার পর তাকে দুই সপ্তাহের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল। দু’সপ্তাহের শাস্তি শেষ করে সে আবার চুলের একই স্টাইল করে স্কুলে আসে। পরে তাকে দ্বিতীয়বারের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় জর্জের মা দারেশা জর্জ অনেক কেঁদেছিলেন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।   

জর্জের মা দারেশা জর্জ সিএনএনকে জানান, আমার ছেলেকে শিক্ষার সাথে অপ্রাসঙ্গিক কিছুর জন্য শাস্তি পেতে হয়েছে। সে এই পরিস্থিতির কারণে হতাশা বোধ করছে।

দারেশা জর্জ আরও জানান, আমাদের পূর্বপুরুষ সবার ড্রেডলক স্টাইল ছিল এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই নিয়ম সবাই মেনে আসছে। আমাদের কাছে চুলের এই স্টাইলটির সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। ড্রেডলক স্টাইল আমাদের শক্তি এটাই আমাদের শিকড়।

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল কর্তৃপক্ষ ড্যারিলকে বলেছিল ছোট ছোট বেনি বাঁধা চুল তার চোখের নিচে, কানের নিচে এসে পড়ে, যা তাদের প্রতিষ্ঠানের পোশাকবিধির লঙ্ঘন।  

দারেশা এনবিসি নিউজকে বলেন, চুলের কারণে ড্যারিলকে স্কুলে শাস্তি দেয়া হয়েছে। সেই শাস্তির কথা শুনে আমি নিজেই কান্না করি। দারেশা বলেন, একটি ছোট্ট ঘরে বেঞ্চে আট ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এটি খুবই অস্বস্তিকর। প্রতিদিন সে বাড়িতে এসে বলে, দীর্ঘ সময় টুলে বসে থাকার কারণে তার পিঠে খুব ব্যথা হয়।

দারেশা জর্জ এই ঘটনার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে বলেও গণমাধ্যমে জানানো হয়।

;