‘স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন কাজে বাস্তবায়ন করতে হবে’
স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কোনো সিদ্ধান্ত মুখে নয় কাজে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা জানান।
সংসদ সদস্য রবি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কোনো সিদ্ধান্ত মুখে নয় কাজে বাস্তবায়ন করতে হবে। সদর হাসপাতাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কমিটির প্রতিটি সভায় যে সব আলোচ্য সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ১০০ শর্য্যার ব্যবস্থা থাকলেও রোগীর সংখ্যা ৪০০ এর অধিক। এ কারণে স্বাস্থ্য সেবা পুরোদমে ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে নোংরা ও দুর্গন্ধে হাসপাতালের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। হাসহাপালে ডাক্তার সংকট ও চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঔষধ না পাওয়ায় আমার সাতক্ষীরার মানুষ কেন কষ্ট পাবে। আমাদের সাতক্ষীরার মানুষদের সাথে বিমাতা সূলভ আচরণের কারণে সেবা গ্রহীতারা কষ্ট ভোগ করছে।’
সংসদ অধিবেশনে এ বিষয়গুলো তুলে ধরবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
কমিটির সভায় আরও বক্তব্য দেন- সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, ডা. মোখলেছুর রহমান, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, বিএম’র সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপ্পি, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎস্না আরা, ফারহা দিবা খান সাথী, সদর হাসপাতালের প্রকৌশলী আমিনুর রহমান প্রমুখ।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আলোচ্য সূচির মধ্যে- সদর হাসপাতালে কর্মকর্তা/কর্মচারীর শূন্যপদ পুরণ, ডায়রিয়া ওয়ার্ড সম্প্রসারণ করা, হাসপাতালে বর্জ্য রাখার বিশেষ স্থাপনা নির্মাণ, হাসপাতালে দর্শানার্থী নিয়ন্ত্রণ করা, ভিজিটর পাস ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ভিজিটর প্রবেশ অনুমোদন করা, ওয়ার্ডে সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা করা, স্ক্যানুতে মেয়েদের জন্য বিশ্রামামগার ও টয়লেট তৈরি, হাসপাতালে বিভিন্ন রুম ক্যাবিন ও ওয়ার্ডের প্রয়োজনীয় সংস্কার, টয়লেট মেরামত করা, প্রয়োজনীয় ফ্যান মেরামত করা, হাসপাতালে ভাঙা ছাদ মেরামত করা, বিদ্যুতের সাব স্টেশন তৈরি সম্পর্কিত, লাশঘর নির্মাণ ও মর্গ সংস্কার, ক্যাবিন কক্ষ বৃদ্ধিকরণ, অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা, কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটি হিসাব খোলা, বর্ধিত টিকিটের টাকাসহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।