দম ফেলার ফুরসত নেই দর্জি কারিগরদের
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে নড়াইলের দর্জি কারিগররা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে তারা। যেন দম ফেলবার ফুরসত নেই তাদের। এখন শহরের বিভিন্ন এলাকার দর্জিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায় কেবল মেশিনের শব্দ।
মূলত ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর এ খুশির দিনে নতুন কাপড় ছাড়া যেন পরিপূর্ণতা পায় না। তাইতো পরিবারের কর্তা ব্যক্তিরা পছন্দের কাপড় কিনতে ছুটছেন বিভিন্ন দোকানে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নতুন পোশাক তৈরির জন্য ছিট কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। চেষ্টা করছেন সাধ্যমতো কাপড় কিনতে। এরপর প্রতিযোগিতা শুরু হয় পোশাক তৈরির দর্জি কারিগরদের।
কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার সালোয়ার-কামিজ বেশি বানানো হচ্ছে। যার মজুরি নেয়া হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। পাঞ্জাবির মজুরি নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা, প্যান্ট ৩৫০-৪০০ টাকা। শার্ট ৩০০ টাকা।
স্থানীয় রেক্স টেইলার্সের (দর্জি) মালিক সুজিত কুমার বলেন, ‘এবার প্রথম রোজা থেকেই বেশ ভালো অর্ডার আসছে। এখন শেষ দিকে দু’একদিনের মধ্যে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিব। হাতে অনেক কাজ জমে রয়েছে। সেগুলো তৈরি করে কাস্টমারের হাতে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
সুমি নামে এক গৃহবধূ পৌর সুপার মার্কেট এলাকায় একটি টেইলার্সের দোকানে নতুন কাপড় বানাতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদে নতুন কাপড় বানাতে এসেছি। তবে গতবারের থেকে মজুরি একটু বেশি।’