চাঁদপুরে দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে লঞ্চ
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগের পর চাঁদপুর থেকে নৌরুটে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় ফিরছে। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তার দিক চিন্তা না করে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চলছে। এতে করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ নেই।
সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে লঞ্চঘাটে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময় হয়ে গেলেও লঞ্চগুলো ছাড়া হচ্ছে না। সোমবার (১০ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমভি সোনারতরী, এমভি রফ রফ, এমভি ঈগল, এমভি আবে জমজম, এমভি প্রিন্স অব রাসেল, মেঘনা রাণী ও বোগদাদিয়া-৭ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে।
চাঁদপুর লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, চাঁদপুর-ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে এ রুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাতায়াত করছে। চাঁদপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুর জেলার আংশিক মানুষ এখন এ রুটে যাতায়াত করে। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে এখন কর্মমুখী মানুষগুলো ঢাকাসহ নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য লঞ্চেই যাওয়া শুরু করেছে।
চাঁদপুর লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানান, যাত্রীদের না ওঠার জন্য নিষেধ করলেও তারা জোরপূর্বক লঞ্চে উঠছে। এ কারণে নির্দিষ্ট যাত্রীর চাইতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। চাপ থাকায় যাত্রী পারাপারের জন্য ২টি স্পেশাল লঞ্চ দেওয়া হয়েছে।
ঈগল, ময়ুর, বোগদাদীয়া, ইমাম হাসানসহ কয়েকটি লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের দায়িত্বরত মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার জানান, যাত্রীদের লঞ্চে না ওঠার জন্য বারণ করলেও তাদেরকে থামিয়ে রাখা যায় না। তারা জোর করে লঞ্চে ওঠে। যার ফলে লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ত্যাগ করছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্বাভাবিকের চাইতে বেশি যাত্রী যাচ্ছে। ওভারলোডিংও হচ্ছে। তবে তা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর কোস্টগার্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।