কুড়িগ্রামে সোয়া ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
সরকারি তথ্য মতে, জেলার ৯ উপজেলার ৭৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৯৮টি গ্রামের সোয়া ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৩০ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে।
এ অবস্থায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় বন্যা দুর্গত মানুষরা শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট।
এসব পানিবন্দী মানুষের জন্য এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ৯ লাখ টাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
বন্যার পানির প্রবল চাপে জেলার রৌমারী, রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে এবং সড়ক-মহাসড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে তা ঢুকে পড়ছে উঁচু এলাকার গ্রাম ও হাটবাজারগুলোতে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৪ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।