কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করায় কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার পরিবার ১০/১২ দিন নৌকায় বসবাস করছে। ঘরে ফিরতে পারছেন না উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেয়া বানভাসি মানুষ। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের।

বিজ্ঞাপন
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/21/1563692543534.jpg
এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, জ্বরসহ নানা পানিবাহিত রোগ

 

এদিকে বাঁধ ভাঙা বন্যার পানিতে এখনও তলিয়ে আছে চিলমারী উপজেলা শহরের রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি, অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনা। 

বিজ্ঞাপন

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, জ্বরসহ নানা পানিবাহিত রোগ। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় ও কোনো  কাজ না থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন বন্যা কবলিত দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। 

সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা জেলার ৯ উপজেলায় ৮ লক্ষাধিক বানভাসি মানুষের জন্য অপ্রতুল।