কুড়িগ্রামে বন্যার্তদের খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বন্যার্তদের খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন

বন্যার্তদের খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন

কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে বন্যা কবলিত শতাধিক পরিবারের প্রায় ৫০০ মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছে।

সোমবার (২২ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের ধরলা ব্রিজের পূর্ব পাড় থেকে জালালের মোড় পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি ঘর তলিয়ে যাওয়া মানুষজন উচুঁ সড়কে গবাদি পশুসহ খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় রাত্রি যাপন করছে।

পাঁচগাছি ইউনিয়নের জুম্মার পাড় এলাকার  মহির উদ্দীন (৬০), নাজির হোসেন (৪০), আমিনুল ইসলাম (৪৫) জানান, আমাদের বাড়িতে এখনো বন্যার পানি আছে। পানি কিছুটা কমলেও বাড়ির আঙ্গিনা, ঘরের মেঝেসহ অবকাঠামো ভেঙে পড়ায় বাড়ি ঘর বসবাসের উপযোগী হতে আরও ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে। কিন্তু মাঝে মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দেখে আমরা শঙ্কিত হচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও জানান, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে নিদারুণ কষ্টে রাস্তায় রাত্রি যাপন করছি। স্ত্রী ও কন্যাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকায় রাতটা জেগে থেকেই কাটিয়ে দেই।

মোটরসাইকেল আরোহী হাবিবুর রহমান মিন্টু বলেন, আমি এই রাস্তাটি দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসলাম। বন্যা দুর্গতরা কষ্ট করে রাস্তায় যেভাবে শুয়ে আছে তাতে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পাঁচগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানি অনেকটা কমে আসলেও গবাদিপশু রাখার জন্য বাড়িতে শুকনো জায়গা না থাকায় তারা গবাদিপশু নিয়ে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।