কুড়িগ্রামে ক্রেতা সংকটে মশলার বাজার
আর কয়েক দিন পরেই ঈদুল আজহা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলমানরা পশু কোরবানি দেবেন। তাই কোরবানির মাংস রান্নার জন্য প্রয়োজন হবে মশলার। কিন্তু ক্রেতা সংকটে হতাশায় ভুগছেন কুড়িগ্রামের মশলা ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটের মশলার বাজারে ক্রেতা সংকটের এমন চিত্র দেখা যায়।
জেলার বিভিন্ন মশলার বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি সাদা এলাচ ২ হাজার ৪৩০ টাকা, প্রতি কেজি বড় এলাচ ১ হাজার ২০০ টাকা, প্রতি কেজি দার চিনি ৪০০ টাকা, প্রতি কেজি জিরা ৩৩০ টাকা, প্রতি কেজি কালো জিরা ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মশলা বিক্রেতা আ. মান্নান, ইয়াকুব আলী, হারুন অর রশিদ জানান, অনান্য বারের তুলনায় এবারের ঈদে মশলার বিক্রি খুবই কম। বন্যায় মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা ধান বিক্রিতে লাভবান হতে না পারায় মশলা কিনতে পারছে না।
তারা আরও জানান, গত ঈদে তারা প্রতি হাটে ১৫-২০ হাজার টাকা করে মশলা বিক্রি করেছেন। অথচ এবারের ঈদে ক্রেতা না থাকায় ৫ হাজার টাকা বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
মশলা কিনতে আসা ঘোগাদহ থেকে আসা মনছুর, নারায়ণপুর থেকে আসা ইছাহাক ও ঝুনকার চর থেকে আসা রফিকুল বলেন, আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বন্যায় অনেক দিন পানিবন্দি থাকায় কোনো কাজ কর্ম করতে না পারায় হাতে টাকা পয়সা নেই। তাই গতবারের থেকেও সামান্য মশলা কিনলাম। যাতে কোনো রকম ঈদের পরিবার পরিজন নিয়ে খেতে পারি।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, বন্যায় চরাঞ্চলের মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ায় ঈদের সদাই প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করতে পারছে না।