স্মৃতির টানে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুপ্রেমীদের ভিড়
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য স্বপরিবারে জাতির জনককে হত্যা করে। পরে তাকে সমাহিত করা হয় তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
৪৪ বছর পরও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। তাইতো তাকে সম্মান জানাতে আর তার স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখতে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় জমান দেশ-বিদেশের বঙ্গবন্ধুপ্রেমীরা।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু সমাধি কমপ্লেক্সে রয়েছে জাদুঘর, লাইব্রেরি, প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং উন্মুক্তমঞ্চ। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর প্রিয় বালিশা আমগাছ, ছেলেবেলার খেলার মাঠ, আদি পৈত্রিক বাড়ি, হিজলতলাসহ স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখানে এসে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও তার জীবনযাত্রা অনুভব করেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
নাঈমুর বেপারী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, লাইব্রেরিসহ তার স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো ঘুরে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যা আগে জানা ছিল না।’
ইউনুস আলী খান নামে এক শিক্ষক বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা যাতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য এখানে তাদের নিয়ে এসেছি। এখানের লাইব্রেরি ও জাদুঘর থেকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে।’
টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মীর্জা জানান, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাজারো স্মৃতি রয়েছে। মেয়র হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষায় স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণ ও সেখানে সাইনবোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।