দুই মাস ধরে জলাতঙ্কের টিকা নেই হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, হবিগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না জলাতঙ্কের টিকা ‘এআরভি’। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই টিকা সরবরাহ করছে না বিধায় দুইমাস ধরে ‘এআরভি’ প্রদান করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বাজারে থাকা এই টিকার দাম অনেক বেশি। এই টিকা ফার্মেসিগুলোতে এক ডোজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। বেসরকারিভাবে চিকিৎসা করতে গেলে যার খরচ পড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। অথচ সদর হাসপাতাল থেকে এই টিকা প্রদান করা হয় বিনামূল্যে। ফলে যাদের এতো টাকা খরচ করে টিকা নেওয়ার সামর্থ্য নেই তারা অনেকেই দৌড়াচ্ছেন কবিরাজের কাছে।

প্রায় দুইমাস ধরে কুকুরের কামড়ে অনেককেই আহত হয়ে সদর হাসপাতালে আসলেও বিনা চিকিৎসায় আবার ফিরে যেতে হচ্ছে তাদেরকে। যাদের সামর্থ আছে তারা বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে এই টিকা কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডিসেম্বর মাস কুকুরের প্রজনন কাল। ফলে এ সময় কুকুর বেশি কামড় দেয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্নস্থান থেকে ৫/৭ জন করে কুকুরের কামড়ে আহত রোগী হাসপাতালে আসেন। কিন্তু তারা কোনো চিকিৎসা পাচ্ছেন না।

সদর উপজেলার পইল গ্রামের বাসিন্দা শফিক মিয়া বলেন- ‘কিছুদিন আগে একটি শেয়াল ঘরে প্রবেশ করে আমাকে কামড় দেয়। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে তারা চিকিৎসা করেনি। তারা বলেছেন, কুকুর বা শেয়ালের কামড়ের ওষুধ নাকি নাই। পরে আমি বাহিরের একটি ফার্মেসি থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ইনজেকশন কিনি।’
 
বানিয়াচং উপজেলার এক রোগীর অভিভাবক মো. রকিবুল হাসান বলেন- ‘আমার ৬ বছরের ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কুকুর কামড় দেয়। কিন্তু হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এসে কোনো ওষুধ পাচ্ছি না।’

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রথিন্দ্র দেবনাথ বলেন- ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না আসায় আমরা রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে আমরাও বিভ্রান্তিতে আছি। এ ব্যাপারে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনসহ যাবতীয় সকল যন্ত্রাংশের সমস্যা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন