দৌলতদিয়ায় গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক অবৈধ বোর্ডিং



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, রাজবাড়ি
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পতিতাপল্লিকে কেন্দ্র করে ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় দেড় শতাধিক আবাসিক হোটেল ও বোর্ডিং। যার বেশিরভাগ বোর্ডিংই স্থাপিত হয়েছে দৌলতদিয়া ঘাট রেল স্টেশনের জায়গা দখল করে।

কোনো নিয়মনীতি না থাকায় এ সকল বোর্ডিংয়ে চলছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারি না থাকায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বোর্ডিংয়ের কর্ণধাররা। দাগি অপরাধীরা এখানে এসে নির্ভয়ে আত্মগোপনে থাকছেন দিরে পর দিন। তবে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বোর্ডিংগুলোতে যাতে কোনো ধরনের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা না করতে পারে সে বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এনিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম।

দৌলতদিয়ায় গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক অবৈধ বোর্ডিং

তবে বোর্ডিং মালিকদের দাবি, বোর্ডিংগুলোতে কোনো খারাপ বা অবৈধ কার্যক্রম চলে না। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা গরিব মানুষেরা সারাদিন কাজ করে এখানে এসে রাত্রিযাপন করেন। কারণ এখানে খুবই অল্প টাকায় তারা খেতে ও থাকতে পারেন।

সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট স্টেশনের দুই পাশে গড়ে উঠেছে এ সকল আবাসিক হোটেল ও বোর্ডিং। ইচ্ছামতো রেলের জায়গা দখল করে ঘর তুলে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। আর দৌলতদিয়া পতিতাপল্লির প্রধান গেটের দুপাশেই রয়েছে বোর্ডিং। ব্যবসার পাশাপাশি সেগুলোতে দিন-দুপুরেই চলছে মাদকসহ নারী ব্যবসা। প্রায়ই এখানকার সকল বোর্ডিং থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। যাদের বেশিরভাগই অজ্ঞাত। তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশের।

দৌলতদিয়ায় গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক অবৈধ বোর্ডিং

বোর্ডিংয়ের আড়ালে মাদক ও নারী ব্যবসার কথা অস্বীকার করে দৌলতদিয়া ঘাট রেল স্টেশন আবাসিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল কাসেম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'এখানে কোনো ধরনের মাদক ও নারী ব্যবসা করা হয় না। তবে আমরা এতদিন যে অনিয়ম করেছি সেটা হলো আমাদের এখানে কেউ রাত্রিযাপন করলে আমরা তাদের কোন ঠিকানা এন্ট্রি করতাম না। যে আসত তাকেই থাকতে দিতাম। তবে বর্তমান গোয়ালন্দ ঘাটের ওসি আমাদের সবাইকে ডেকে বলেছেন, যারাই থাকুক না কেন তাদের সম্পূর্ণ ঠিকানা রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে। এখন থেকে আমরা সবাই এ কাজটি করছি।'

তিনি দাবি করেন, তারা রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ঘর উত্তোলন করেছেন। কিন্তু অনেকেই এ সময় লিজের বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।

দৌলতদিয়া ঘাট স্টেশনের মাস্টার আব্দুল গণি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দৌলতদিয়ায় গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক অবৈধ বোর্ডিং

গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'মূলত পতিতাপল্লিকে কেন্দ্র করেই এ সকল বোর্ডিং গড়ে উঠেছে। এরা কোনো নিয়মকানুন মানত না। ইতোমধ্যে আমরা সবাইকে ডেকে বলেছি, সবাইকে আইনের মধ্যে থেকে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।'

রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র আমি পাল্টে দেব। আপনারা দেখেছেন, ঘাটকে কেন্দ্র করে এতদিন যে দালালচক্র ছিল তা কিন্তু এখন আর নেই। এরই মধ্যে আমি ঘাটকে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছি। ঘাটে কোনো রকম অরাজকতা কাউকে করতে দেব না।'

তিনি আরও বলেন, 'দৌলতদিয়া পতিতাপল্লিকে ঘিরে যারা এতদিন অবৈধ টাকা আয় করেছেন এখন তারা আর সেটি করতে পারবেন না। দৌলতদিয়া রেল স্টেশনে যে বোর্ডিং আছে তাদের কোনো রেজিস্ট্রার খাতা ছিল না। যার কারণে অনেক দাগি অপরাধীই এখানে এসে আত্মগোপনে থাকত। আমি স্পষ্ট সবাইকে বলে দিয়েছি, তোমাদের রেজিস্ট্রার খাতা থাকতে হবে এবং যেই থাকুক না কেন তার সকল পরিচয় রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;