বই সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে কর্তৃপক্ষ



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজবাড়ী
আড়াই লাখের বেশি সংখ্যক বই সংরক্ষণের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আড়াই লাখের বেশি সংখ্যক বই সংরক্ষণের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২০ সালের বরাদ্দকৃত বিনামূল্যের বই নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বই বিতরণ ও সংরক্ষণ কমিটি। বই সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কোনো গুদাম না থাকার কারণে বই বিতরণের অনেক আগেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে বই তুলে দিতে হচ্ছে তাদের।

আর নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে বই বিতরণ করার ফলে বই নষ্ট বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাবি সরকার যেন উপজেলাতে বই সংরক্ষণের জন্য একটি গুদাম নির্মাণ করেন।

 বই রাখার জন্য আপাতত বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কক্ষ ব্যবহার করা হচ্ছে

 

সরেজমিনে দেখা যায়, সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণের লক্ষে এরই মধ্যে বালিয়াকান্দিতে বই পাঠানো শুরু করেছে। কিন্তু বালিয়াকান্দি উপজেলাতে বই সংরক্ষণের জন্য কোনো গুদাম না থাকার কারণে বই বিতরণ ও সংরক্ষণ উপজেলা কমিটি বই রাখার জন্য আপাতত সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কক্ষ ব্যবহার করছে। আর কক্ষটি পূর্ণ হয়ে গেলেই কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিনামূল্যের বইগুলো প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

কক্ষটিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার বই রাখা সম্ভব

 

মঙ্গলবার (২৪) সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বালিয়াকান্দি সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়ছারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো: মেয়াদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বালিয়াকান্দিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল রয়েছে ৩০টি আর মাদ্রাসা রয়েছে ১২টি । মোট ৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০টি বই বালিয়াকান্দির জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এতো বই সংরক্ষণের জন্য আমাদের কোনো জায়গা নেই। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের যে কক্ষটি আমরা ব্যবহার করছি সেটিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার বই রাখা সম্ভব। তাই আমরা কক্ষটি ভরে গেলেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ডেকে আগেই তাদের বই বুঝিয়ে দিচ্ছি।

বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়ছার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মূলত ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যের নতুন বই হাতে পাবে। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে সেই লক্ষে সরকার এরই মধ্যে প্রতিটি উপজেলাতে বই পাঠানো শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের বালিয়াকান্দিতে বই সংরক্ষণের জন্য কোনো গুদাম না থাকায় আমরা আগেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে তাদের বিদ্যালয়ের বই তুলে দিচ্ছি। এত আগে বিদ্যালয়ে বই পাঠিয়ে দিলে কিছু ঝুঁকিও থাকে।

উপজেলা বই বিতরণ ও সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এটা একটা বড় ধরণের সমস্যা। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারের বিনামূল্যের এতোগুলো বই রাখার জন্য এখানে কোন গোডাউন নেই। আমি এখানকার পুরনো ভবনটি ভেঙে সেখানে একটি গোডাউন তৈরির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুপারিশ পাঠাবো।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;