শিশু অপহরণে ব্যর্থ হয়ে মাকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার ১

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আহত ফাতেমা বেগম, ছবি: সংগৃহীত

আহত ফাতেমা বেগম, ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রবাসীর শিশুকে অপহরণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. রাজু নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার হওয়া রাজু উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের আজাদ হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, চাঁদা না পেয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের প্রবাসী আলাউদ্দিনের মেয়ে মনিকাকে (২) অপহরণের চেষ্টা করেন ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও একাধিক মামলার আসামি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও তার অনুসারীরা। অপহরণের চেষ্টাকালে ব্যর্থ হয়ে জুয়েল প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে রাতে আলাউদ্দিনের ভাই মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা জুয়েলকে প্রধান করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ ভোলাকোট গ্রাম থেকে মামলার আসামি রাজুকে গ্রেফতার করে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভোলাকোট গ্রামের মোতাহের ও আলাউদ্দিন দুই ভাই আবুধাবিতে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ২০১৭ সালে মোতাহের দেশে আসলে জুয়েল ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে মোতাহেরের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দেন জুয়েল। ভয়ে তখন ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দাবিকৃত বাকি ৩ লাখ টাকা না দেওয়ায় ফের হুমকি দেওয়া হলে মোতাহের পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে যান।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি মোতাহের ও আলাউদ্দিন ভোলাকোট গ্রামে বাড়ি নির্মাণ করেন। এ কারণে তারা বাড়িতে আসলে জুয়েল ফের চাঁদার জন্য হুমকি দেন। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় জুয়েল তার অনুসারীদের নিয়ে আলাউদ্দিনের মেয়ে মনিকাকে অপহরণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তদন্তে গ্রেফতার হওয়া রাজুর বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।'