নিজ পল্লীতে ফিরছেন সাঁওতালরা, তবে আতঙ্ক কাটেনি



গনেশ দাস,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
সাঁওতালরা আবারো ফিরছেন তাদের আদি নিবাস কুয়ামারা দিঘির পাড়ে/ছবি:বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সাঁওতালরা আবারো ফিরছেন তাদের আদি নিবাস কুয়ামারা দিঘির পাড়ে/ছবি:বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাহেবগঞ্জ (বাগদা) সাঁওতাল পল্লী থেকে: গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ সাঁওতাল পল্লী। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তিনজন আদিবাসী নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে উচ্ছেদ করা হয় আড়াই হাজার পরিবারকে। সেই সময় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় আদিবাসীদের ঘর-বাড়ি, গবাদিপশু এমনকি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও।

এরপর তারা পার্শ্ববর্তী জয়পুর ও মাদারপুর গ্রামে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নেয় সাঁওতালরা। কিন্তু, গ্রামবাসী এখন আর ওই গ্রামে তাদের আশ্রয় দিতে চাচ্ছেন না। ফলে সাঁওতালরা আবারো ফিরছেন তাদের আদি নিবাস কুয়ামারা দিঘির পাড়ে। সেখানে তৈরি করছেন ঝুপড়ি ঘর। তবে এখনও কাটেনি সেই ভয়াবহ হামলার আতঙ্ক। দু:স্বপ্নের মতো আঘাত হানে দুর্বিষহ সেই স্মৃতি।  

একদিকে নিজ আবাসভূমিতে ঘর তৈরির পর থেকেই আসছে নানা ধরনের হুমকি। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে সাঁওতালরা পালা করে তীর-ধুনক নিয়ে দিন-রাত পাহারা দিচ্ছেন তাদের পল্লী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর সুগার মিল ১৯৫৫-৫৬ সালে বাগদা ইক্ষু খামারের অধীনে ইক্ষু চাষের জন্য স্থানীয় আদিবাসী ও বাঙালিদের ১৮৪২ একর জমি লিজ নেয়। পরবর্তী সময়ে রংপুর সুগারমিল বন্ধ ঘোষণা করা হলে আখ চাষও বন্ধ হয়ে যায়। জমিগুলো পরিত্যক্ত থাকায় আদিবাসীরা সেগুলো চাষাবাদ শুরু করেন। এনিয়ে রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানালে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিকেলে জমি দখল নিয়ে প্রভাবশালী মহলের ভাড়াটিয়া বাহিনীর সঙ্গে সংর্ঘষ বাধে আদিবাসীদের। আদিবাসীরা তীর ধনুক নিয়ে হামলাকারীদের মোকাবিলা করতে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মারান্ডি এবং রমেশ টুডু নামের তিন আদিবাসী। সংঘর্ষের এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

ওই সময়ই আদিবাসী পল্লীতে আগুন দিয়ে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলো আশ্রয় নেন পাশের গ্রামে। প্রায় তিন বছর উদ্বাস্তেুর মতো কাটে তাদের জীবন। এখন তারা ফিরতে শুরু করেছেন পূর্বের সেই সাঁওতাল পল্লী ১৬ একর আয়তনের কুয়ামারা দিঘির পাড়ে। নতুন করে ঘর তুলতে শুরু করেছেন সেখানে। তবে তারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। কেননা ঘর তোলার পর থেকেই আসছে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি। আশঙ্কা করছেন যে কোন সময় তাদের ওপর হামলা হতে পারে। একারণে পুরুষ সদস্যরা তীর ধনুক নিয়ে দিন-রাত পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন সাঁওতাল পল্লী।

সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা রমেন সরেন, কল্পনা মর্ম, মিকাই মর্ম, ভগন মর্ম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এই সম্পত্তি তাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। সম্পত্তি উদ্ধার করতে গিয়ে তাদের তিনজন জীবন দিয়েছেন। সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য তারা সব সময় তীর-ধুনক নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন। হামলাকারীদের মোকাবিলা করতে তীর-ধনুকই তাদের মূল হাতিয়ার।

২০১৬ সালে তিনজন আদিবাসী নিহত হওয়ার পর গড়ে তোলা হয়েছে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি। এই কমিটির সদস্যরাই সাঁওতালদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।

সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সদস্য থোমাস হেমব্রম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, কুয়ামারা দিঘির পাড়ে সাঁওতাল পরিবারগুলো নতুন করে ঘর তুলছে। এ খবর পেয়ে চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসেন। এসময় সাঁওতালরা তীর-ধনুক নিয়ে অবস্থান নেয়। এমন অবস্থা দেখে যারা পরিদর্শন করতে এসেছিলেন তারা ফিরে যান।

তিনি বলেন, সাঁওতালরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। আর তাই ওইদিন তারা তীর-ধনুক নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলো। সাঁওতালদের নিরাপত্তা এবং সেইদিনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সংগ্রাম কমিটির নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বুধবার (১৬ অক্টোবর) দেখা করতে গেছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;