সহসাই চালু হচ্ছে না দৌলতদিয়ার ২ ফেরি ঘাট
দীর্ঘ এক মাস আগে পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়া রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ার দুটি ফেরিঘাট সহসাই চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। নদীতে পানি কমতে থাকলেও এখনো ভাঙছে নদীর দুই কূল। সর্বশেষ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় দৌলতদিয়ার ৩নং ফেরিঘাটটিও।
তিনদিন ধরে ঘাটটির সংস্কার কাজ করার পর অবশেষে রোববার রাতে এটি চালু করতে সক্ষম হয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঘাটটি চালু হলেও যে ভাবে এখনো নদী ভাঙছে তাতে ঝুঁকিতে রয়েছে সচল থাকা চারটি ঘাটই। কর্তৃপক্ষ বলছে নদী এখনো অস্থিতিশীল। নদী স্থির না হওয়া পর্যন্ত ঘাটের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে না।
দৌলতদিয়া ঘাটে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ফারাক্কার সবগুলো বাঁধ ছেড়ে দেওয়ায় হঠাৎ পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে দেখা দেয় তীব্র স্রোতের। যার ফলে পদ্মা নদীর দুকূল ভাঙতে শুরু করে।
ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে দৌলতদিয়ার চারটি গ্রাম। সেই ভাঙন থেকে রক্ষা পায়নি ফেরিঘাটও। অব্যাহত ভাঙনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তের ১ ও ২নং ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়।
গত ৫ অক্টোবর বিলীন হয়ে যায় ১নং ফেরিঘাটটি। তার দুইদিন পরই বিলীন হয় ২নং ফেরি ঘাটটি। যা এখনো বন্ধ রয়েছে। আর সর্বশেষ নদীতে পানি কমার পর ২৫ অক্টোবর বিলীন হয় ৩নং ঘাটটি। তিনদিন কাজ করার পর বর্তমান এটি সচল রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ'র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সাব এ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, খুব সহসাই নদীতে বিলীন হওয়ায় ১ ও ২ নং ফেরিঘাট চালু করা সম্ভব হবেনা। কারণ এখনো নদী ভাঙছে। তাই আমরা ঘাটগুলোকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। নদী এখনো অস্থিতিশীল। নদী স্থির না হওয়া পর্যন্ত ঘাটের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছেনা। নদী স্থিতিশীল হলেই ঘাট মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।