ঈশ্বরগঞ্জ ডাকঘরে টাকা নেই, সঞ্চয়পত্রের টাকা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ঈশ্বরগঞ্জ ডাকঘর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঈশ্বরগঞ্জ ডাকঘর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও সঞ্চয়পত্র ভেঙে টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না গ্রাহকরা। প্রতিদিন ডাকঘরে টাকা তুলতে গিয়ে গ্রাহকরা খালি হাতে ফিরে আসছেন। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে ডাকঘর কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের দফতরে টাকা না থাকায় এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে।

ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, লাভের আশায় গ্রাহকরা এখানে সঞ্চয়পত্র করেন। কেউ কেউ বিপদে আক্রান্ত হয়ে নিজেদের নামের সঞ্চয়পত্র উত্তোলন করে নিয়ে যান। কিন্তু চলতি মাসে টাকা উত্তোলন করতে না পারায় গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এ বিষয়ে গ্রাহক মদিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার খরচের টাকার জন্য নিজের নামের সঞ্চয়পত্রের ভেঙে টাকা উত্তোলন করার জন্য ডাকঘরে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ জানায় টাকা নেই। এই অবস্থায় স্বামীর চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কায় আছি।

ডাকবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ ডাক ঘরে পরিবার সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৩ হাজার, তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র রয়েছে ২ হাজার ও পেনশনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৩৫০ জন গ্রাহকের। নির্দিষ্ট সময়ে এখান থেকে গ্রাহকরা তাদেও মুনাফার টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু অক্টোবর মাসে ঈশ্বরগঞ্জ ডাকঘর থেকে গ্রাহকদের মুনাফার টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিনে বুধবার (৩১ অক্টোবর) খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ ডাকঘরে মুনাফা উত্তোলনকারী গ্রাহকদের ভিড়। কয়েকজন গ্রাহকের সাথে বাকবিতণ্ডা হচ্ছে ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার সাধন সরকারের। নিজেদের মুনাফার টাকা কেন পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নে জর্জরিত হচ্ছেন পোস্ট মাস্টার।

সেবা নিতে আসা গ্রাহক কামাল উদ্দিন বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে গত ১৮ মাস আগে জমা রাখা সঞ্চয়পত্রের ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করার জন্য ডাকঘরে ঘুরছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আজ নয় কাল এমন করে আমাকে ঘুরাচ্ছেন, কিন্তু টাকা দিচ্ছেন না।

আরেক গ্রাহক শাছুজ্জামান জানান, পেনশনী স্কিমে ৫ লাখ টাকা ও পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। প্রতি মাসে ১৪ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলন করে নিজের সংসার চালান। কিন্তু অক্টোবর মাসে টাকা না পাওয়ায় হতাশায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার সাধন সরকার বলেন, এ মাসেই ঈশ্বরগঞ্জে যোগদান করেছি। টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু টাকা না ছাড় না পাওয়ায় গ্রাহকদের দেওয়া যাচ্ছেনা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;