হেমন্তেই জমে উঠেছে পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার

  • রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শীতের পুরাতন পোশাক কিনছেন ক্রেতারা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শীতের পুরাতন পোশাক কিনছেন ক্রেতারা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সারাদিন রোদের রাজত্ব। সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। হেমন্তের মৃদু মৃদু ঠাণ্ডা আবহাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীত জেঁকে না বসলেও শীত মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। শহরের হারুনপার্ক মোড়, উত্তরবাজার ও ঝলমল সিনেমাহলের সামনে ফুটপাতে জমে উঠেছে পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার।

প্রচণ্ড রোদ-ধুলাবালি উপেক্ষা করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন ভিড় করছে ফুটপাতের পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। এসব দোকানগুলোতে জ্যাকেট, কম্বল, সোয়েটার, মাফলার, ব্লেজার, হাতমোজাসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও চলছে ভালো।

বিজ্ঞাপন

দোকানিরা জানালেন, এখন কার্তিক মাস। দিনে গরম-রাতে শীত। তাই বিকিকিনি একটু কম। তবে অগ্রহায়ণের শুরুতে শীত পড়তেই বিকিকিনি বেড়ে যাবে।

আরও পড়ুন: পাকা ঘর পাচ্ছেন বোবাবাড়ির বাকপ্রতিবন্ধী চানবানু

বিজ্ঞাপন

ফুটপাতের পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মেয়েদর সোয়েটারের দাম মানভেদে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, ছেলেদের সোয়েটার ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ১৫০ থেকে ১০০০ টাকা, বাচ্চাদের সোয়েটার ৪০ থেকে ২০০ টাকা, হাতমোজা ৩০ থেকে ১০০ টাকা, কম্বল ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। এছাড়া মানভেদে সাধারণ টুপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও মাফলার ৫০ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

পছন্দের শীতের পোশাক খুঁজছে শিশুরা

শীতবস্ত্র কিনতে আসা মহসীন মাহমুদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ফুটপাতের দোকান হলেও এখানে দেখে শোনে ভালো কাপড় পাওয়া যায়। যদিও শীত এখনো পড়েনি। তারপরও কাপড় নিতে এসেছি। কারণ, হঠাৎ করে শীত পড়ে গেলেই কাপড়ের দাম বেড়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: ঈশ্বরগঞ্জ ডাকঘরে টাকা নেই, সঞ্চয়পত্রের টাকা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা

অপর ক্রেতা আনিসুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘দিনে শীত না লাগলেও সন্ধ্যার পর হালকা বাতাসে কাঁপুনি লাগে। তাই এখানকার দোকান থেকে শীত বস্ত্র কিনতে এসেছি। পুরাতন শীতবস্ত্রগুলো বিদেশি হওয়ায় গুণগত মান নতুন কাপড়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’

পুরাতন শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন ভুট্টো বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ক্রেতাদের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কমদাম, বেশিদাম সব ধরনের পোশাকই দোকানে তুলি। শীত জেঁকে না বসায় এখনো শীতবস্ত্র বিকিকিনি তেমন শুরু হয়নি। তবে শীত একটু বাড়তে শুরু করলে বিকিকিনি বেড়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: শিক্ষা উপবৃত্তি পেল সেই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রমন