রামগতিতে গুচ্ছগ্রামের প্রতি ঘরের জন্য ১০ হাজার টাকা নেন চেয়ারম্যান!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর। ছবি: সংগৃহীত

চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুরের বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রামের ঘর পাইয়ে দেয়ার জন্য চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি একই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোহাম্মদ উল্যাহ টিপু জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ করেন। একই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ২ নম্বর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে অসহায় গরিব লোকদের জন্য ৫টি ঘরের আবেদন করা হয় চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের কাছে। ইউপি সদস্য টিপু চেয়ারম্যানের কাছে এ আবেদন করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান প্রত্যেকটি ঘরের জন্য টিপুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দাবি করেন। টাকা না দিলে চেয়ারম্যান ঘর বরাদ্দ দেবে না বলে অভিযোগে বলা হয়। এছাড়া একই এলাকার ইসলাম আলীর ছেলে ছিদ্দিক হাওলাদারের কাছ থেকে ৩টি ঘরের জন্য ৩০ হাজার টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনের কাছ থেকে ৫টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, ‘শুনেছি প্রতিটি ঘরের জন্য চেয়ারম্যান ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। তবে আমার কাছ থেকে ৫টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। অসহায় গরিব মানুষ যাতে ঘরগুলো পায় সেজন্য আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও আবেদন করেছি। এ কারণে হয়তো আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলো নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারের কাছে মেম্বার টিপু ২ লাখ টাকা চেয়েছে। ঠিকাদার বিষয়টি জানালে আমি টিপুর কাছে টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাই। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন তিনি।’

বিজ্ঞাপন

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মোমিন বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি পেয়েছি। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে আমি নিজেই তদন্ত করব।’

প্রসঙ্গত, চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বিগত দিনে নিজের নামে জেলে (মৎস্যজীবী) কার্ড করে সরকারি সহায়তা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।