জলাবদ্ধতায় সহস্রাধিক একর জমির ফসল বিনষ্টের পথে
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ক্লোজার রেগুলেটরের গেইট বন্ধ করে রাখায় নদীর পানি বেড়ে এবং জলাবদ্ধতায় উপজেলার চরপার্বতী, চরহাজারী, মুছাপুর ও পার্শ্ববর্তী চরদরবেশ ইউনিয়নের হাজার হাজার একর জমির আমন ধান এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি বিনষ্টের পথে। ভুক্তভোগী প্রান্তিক চাষী, বর্গাচাষী ও সাধারণ কৃষকরা এ জন্য মুছাপুর রেগুলেটর কর্তৃপক্ষ এবং নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়ী করছে।
গত কয়েকদিন ধরে রেগুলেটরের গেইট বন্ধ রাখা হয়েছে। যার ফলে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলাবদ্ধতায় জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, এবার সরকারিভাবে বিনামূল্যে বীজ, সার ও কৃষি প্রযুক্তি সেবা পাওয়ায় ফসলের ভালো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আগমনকে কেন্দ্র করে আতঙ্কে ছিলাম, কিন্তু বুলবুল আমাদের ক্ষতি করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে মনুষ্যসৃষ্ট জলাবদ্ধতায় আমন ধান, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, মৎস্য খামারের মাছ তলিয়ে গেছে। মুছাপুর রেগুলেটরের গেইট বন্ধ রাখায় জমির ফসল জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে গেছে। এখনও যদি খুলে না দেওয়া হয়, তাহলে জলাবদ্ধতায় পানির নিচে থাকা সব ফসল শতভাগ নষ্ট হয়ে যাবে বলে কৃষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমুহের চেয়ারম্যান এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে লিখিতভাবে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নভেম্বর থেকে মার্চ অথবা এপ্রিল পর্যন্ত কৃষি কাজের জন্য মুছাপুর রেগুলেটরের গেইট বন্ধ রাখার জন্য উর্ধ্বতর কর্মকর্তার নির্দেশ আছে। এখন যে সব কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে তা সামান্য মাত্র।