কংক্রিট খসে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কাঁচামাটিয়া নদীর ওপর নির্মিত পাকা সেতুটি সংস্কারের অভাবে ক্রমেই জরাজীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সেতুর দুপাশের রেলিংয়ের কংক্রিট খসে রড বেরিয়ে আসায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শত শত যানবাহন ও পথচারীরা সেতু পার হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, যানবাহন চালক ও পথচারীরা দিনের বেলায় দেখেশুনে সেতু পার হয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেতু পারাপারের সময় সেতুর রেলিংয়ের কংক্রিটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা রড থেকে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জাটিয়া ও সরিষা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কাঁচামাটিয়া নদী। নদীর জাটিয়া অংশে সুটিয়া বাজার ও সরিষা অংশে কুর্শিপাড়া বাজার। দুই পারের মানুষের নদী পারাপারের জন্য ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. আবদুছ ছাত্তার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভাগের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ওই সময় প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে দুই ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন শুরু হয়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে খসে পড়তে শুরু করছে সেতুটির কংক্রিটের প্রলেপ। সেতুর রেলিংয়ের সিংহভাগ কংক্রিট ইতিমধ্যে খসে পড়েছে। রড বেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান আকন্দ বলেন, নব্বই দশকে সেতুটি নির্মাণের পর দুই পাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন ধার উন্মোচিত হয়েছিলো। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেতুটি ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। রেলিংয়ের সিমেন্ট-বালুর আস্তরণ খসে পড়ছে; কিন্তু কেউ এসব দেখছেন না। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তৌহিদ আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর বিষয়টি আমি অবগত আছি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে এডিপি কিংবা অন্য কোনো প্রকল্পের অর্থায়নে সেতুটি সংস্কার করা হবে।