দৌলতদিয়াতে আটকে আছে ৩৫টি কার্গো
রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজে ব্যবহৃত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে আনা পাথর ও কয়লাবাহী ৩৫টি কার্গো এক সপ্তাহ ধরে আটকে আছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে। আটকে থাকা কার্গোগুলো দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরি ঘাটের পাশে বাহিরচরে নোঙ্গর করে রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌপথের বিভিন্ন এলাকায় নাব্যতা সংকটের কারণে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে পণ্যবাহী কার্গোগুলো স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারছেনা। কারণ কার্গোগুলো চলতে নদীতে ১১ ফুট পানির গভীরতা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এখন এই নৌপথে পানির গভীরতা রয়েছে ৭-৮ ফুট। পানির গভীরতা বাড়ানোর জন্য কয়েক দিনের মধ্যে তারা খনন কাজ শুরু করবে বলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেন।
এদিকে দৌলতদিয়াতে নোঙ্গর করা কার্গোগুলো থেকে পাথর ও কয়লা নামিয়ে রাখছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, প্রায় প্রতিটি কার্গোতেই ১১০০ টন করে পাথর রয়েছে। যার কারণে পানির গভীরতা কম থাকায় তারা গন্তব্যে যেতে পারছেন না। তাই প্রতিটি কার্গো থেকেই ১৫০ টন করে পণ্য এখানে খালাস করছেন।
দৌলতদিয়াতে আটকে থাকা কার্গো এমভি আরাফাত ময়দান, এমভি আসাদ-১, এমভি সোনিয়া-৭ সহ একাধিক কার্গোর মাস্টার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে আমরা এখানে এক সপ্তাহ ধরে আটকে রয়েছি। আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে যেখানে ৪-৫ দিন লাগার কথা সেখানে ১০-১৫ দিন লেগে যাচ্ছে।
এ সময় তারা আরো বলেন, কার্গো থেকে পাথর নামানোর জন্য যে শ্রমিকের প্রয়োজন আমরা তা পাচ্ছিনা। এখানে শ্রমিকেরও সংকট রয়েছে। আমরা উপায় না পেয়ে নগরবাড়ী থেকে শ্রমিক এনেছি। এখন ১৫০ জন শ্রমিক পাথর খালাসের কাজ করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষের আরিচা কার্যালয়ের যুগ্ম-পরিচালক আব্দুর রহিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, দৌলতদিয়া থেকে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত নৌপথের ৬-৭টি স্থানে ডুবোচর ওঠায় কার্গোগুলো স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারছেনা। এ সকল পণ্যবাহী কার্গোগুলো চলার জন্য নদীতে কমপক্ষে ১১ ফুট পানির গভীরতা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এখন রয়েছে মাত্র ৭-৮ ফুট পানি। যার ফলে কার্গোগুলো ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে।
তবে কার্গোগুলো যাতে অল্প পণ্য খালাস করেই চলতে পারে সেজন্য আমাদের নিজস্ব দুটি ড্রেজার এরই মধ্যে এসে পৌঁছেছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই খনন কাজ শুরু হবে। আর খনন কাজ শুরু হলে আরো দুই ফুট পানির গভীরতা বাড়বে। তখন কার্গোগুলো তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে।