শিল্পবর্জ্য পানিতে, মরে ভাসছে হাঁস-কীটপতঙ্গ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দূষিত পানিতে ভাসছে মরা হাস। ছবি: বার্তা২৪.কম।

দূষিত পানিতে ভাসছে মরা হাস। ছবি: বার্তা২৪.কম।

শিল্পবর্জ্যের দূষণের ফলে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জীবন-যাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অসহনীয় দুর্গন্ধ আর দূষিত পানির কারণে জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ওই এলাকার শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। খালের পানিতে নেমে রেহাই পাচ্ছে না গৃহপালিত পশু-পাখিও। মরে ভাসছে হাঁস, কীটপতঙ্গসহ বিভিন্ন প্রাণি।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) উপজেলার দূষণ কবলিত বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করতে যান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের নেতারা। এ সময় পরিবেশ কর্মীরা উপজেলার এক্তিয়ারপুর, শ্রীমৎপুর, দাসপাড়া, গোপীনাথপুর, ছাতিয়াইনসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে পরিবেশ কর্মীরা জানান- মাধবপুর উপজেলায় গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি কারখানার বর্জ্য বিভিন্ন খাল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানি কালো হয়ে গেছে। দূষিত পানির দুর্গন্ধে খালের পাশে যাওয়া যায় না। খালের পানিতে মৃত হাঁস-মুরগি ভেসে রয়েছে। মাছের অস্তিত্ব নেই ওই খালে।

এলাকাবাসী জানান- বিষাক্ত এ পানি ব্যবহার করে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মারাত্মক দুর্গন্ধের কারণে বাড়ি-ঘরে থাকা যাচ্ছে না। কৃষিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক কৃষি জমি পতিত পড়ে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল জানান, কলকারখানাগুলোতে বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা নেই। তাই বলে এভাবে তারা কারখানার অভ্যন্তরে কিংবা বাইরে বর্জ্য ফেলে রাখতে পারে না। এটি দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি বিধানের পরিপন্থী।

তিনি আরও জানান, কারখানার বর্জ্য খালে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে বর্জ্য গ্রামের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে বাপা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। দ্রুত এ সমস্যা থেকে বের হতে না পারলে এলাকাবাসীর বড় ধরনের ক্ষতি হবে।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাপা হবিগঞ্জের সদস্য শেখ আব্দুল্লাহ মোশাহিদ, ডা. আলী হাসান চৌধুরী পিন্টু, আমিনুল ইসলাম।