কোম্পানীগঞ্জে ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার করা হচ্ছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার করা হচ্ছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রতি বছরের ন্যায় শীতের শুরুতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ অঞ্চলের বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চল, জলাশয়, খালে-বিলে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

বিভিন্ন প্রজাতির বক ধানক্ষেতে জমে থাকা পানিতে মাছ শিকার করে এই সময়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কানিবক ও জটলা বক। তবে কিছু স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ী নির্বিঘ্নে পাখি শিকার করছে। ফলে অতিথি পাখির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞাপন

আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চরাঞ্চলে ফাঁদ, বিষটোপ ও জাল দিয়ে নির্বিচারে পাখি নিধন চলছে। উপজেলার চর গাংচিলে অতিথি পাখি শিকার যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। সচেতন স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন পাখি শিকার রোধে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখছেন না।

এতে পাখি শিকারীরা দিনে ও রাতে পাশ্ববর্তী হাট বাজার গুলোতে অবাধে বিক্রি করছে এসব পাখি।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ায় বিলে শত শত সাদা বক ও পানকৌড়ি এসে আশ্রয় নিয়েছে। মার্বেল গুলি ও বিষ দিয়ে এসব অতিথি পাখি শিকার করছে স্থানীয় যুবকেরা। এছাড়াও আশ্রয়ে আসা অতিথি পাখি শিকারে জালের ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে জালে ও ফাঁদে পড়লে পাখিগুলোকে খাঁচায় আটকানো হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে পাখি শিকার করে খাওয়া ও বিক্রির কথা স্বীকারও করেছেন স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন বেশি। তাই এই সময় তারা অনেকে পাখি শিকার করে থাকেন। ওইসব পাখি নিজেরা খান এবং অন্যদের কাছে বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফয়সল আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে অতিথি পাখি শিকারের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।