আ’লীগের জাতীয় সম্মেলন, হবিগঞ্জে যাদের ঘিরে আলোচনা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
আলোচনায় পাঁচ মুখ

আলোচনায় পাঁচ মুখ

  • Font increase
  • Font Decrease

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে গড়তে সোনার দেশ/এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’ স্লোগানে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপ-মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুক্রবার বিকেল ৩টায় উদ্বোধন করবেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর দিন সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন।

সম্মেলন ঘিরে হবিগঞ্জে ফের শুরু হয়েছে আলোচনা। যদিও জেলা সম্মেলনের পর বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল রাজনৈতিক গুঞ্জন। কিন্তু জাতীয় সম্মেলন আবারও সেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এবার আলোচনার বিষয় হবিগঞ্জের কেউ কি থাকছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে?

কেন্দ্রীয় কমিটিতে হবিগঞ্জের একাধিক নেতার স্থান হচ্ছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নিজেদের স্থান করে নিতে দৌড়ঝাঁপ করেছেন হবিগঞ্জের একাধিক নেতা। চালাচ্ছেন জোর লবিং-তদবির। তবে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের ইঙ্গিত বলছে কোন পদ না পেলেও সদস্য হিসেবে থাকতে পারেন হবিগঞ্জের একাধিক মুখ।

হবিগঞ্জ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে পারেন এমন পাঁচজনের নাম শোনা যাচ্ছে খুব জোরেশোরেই। হবিগঞ্জবাসীও প্রত্যাশা তৃণমূল আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে এ জেলা থেকে কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই দেয়া হবে।

আলোচনায় আছেন যারা:

ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী: দলের একজন নিবেদিত প্রাণকর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। এছাড়াও তাকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ধারকও বলা হয়ে থাকে। তিলে তিলে তৃণমূল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পদ অলঙ্কিত করেছেন। জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। যে কারণে কেন্দ্রের ‘গুড বুকে’ তার নাম রয়েছে বলে দাবি অনেকের। দলের শুদ্ধি অভিযানের পর আগামী কমিটি শতভাগ পরিচ্ছন্ন নেতাদের নিয়ে গঠনের পরিকল্পনা করছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার ফলে ডাঃ মুশফিক হোসেনের নামটি কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী: দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তিনি। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় পার্টির দূর্গ হিসেবে পরিচিত হবিগঞ্জ-৩ আসনে লাঙ্গলের প্রভাবশালী প্রার্থীর বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন।

এছাড়াও তিনি জেলা আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতে বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যে কারণে স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদে সদস্য মনোনীত করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন সততার সঙ্গে হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসেবে এবারের কমিটিতে তার নামটিও আলোচনায় রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

আব্দুল মজিদ খান: প্রয়াত অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার বাদি হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ আসন থেকে নৌকার মনোনয়নে বিজয়ী হন। ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে হ্যাট্রিক বিজয়ের গৌরব অর্জন করেন তিনি। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও তিনি সফলতা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সদ্য অনুষ্ঠিত জেলা কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদকের চলতি দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার কারণে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই দেয়া হতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন উঠেছে।

আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া: মরণোত্তর ২১শে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরীর কন্যা হওয়ায় দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহভাজন হিসেবে দশম সংসদে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য মনোনীত করা হয়।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বাহুবল-নবীগঞ্জ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন তিনি। বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও নারী উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও দলে নারী নেতৃত্ব বিকাশে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের কারণে তিনিও ঠাঁই করে নিতে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন: বিভিন্ন সমস্যা ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সারাদেশে আলোচনায় আসেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।

গত সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। আলোচনা আছে, একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি হিসেবে তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;