জন্মভূমি সাজানোর স্বপ্ন পূরণ হলো না স্যার ফজলে হাসান আবেদের



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
শিশুদের সঙ্গে স্যার ফজলে হাসান আবেদ, ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের সঙ্গে স্যার ফজলে হাসান আবেদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’ এর প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কামালকানি গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সৈয়দা সুফিয়া খাতুন এবং সিদ্দিক হাসানের দ্বিতীয় সন্তান স্যার ফজলে হাসান আবেদ।

বাল্যকাল থেকেই প্রচণ্ড মেধাবী ও আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন তিনি। অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারতেন না। তাইতো অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্র্যাক।

জন্মভূমি বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী থেকে ব্র্যাকের কার্যক্রম শুরু হয়। সেই ব্র্যাক এখন বিশ্বের সর্ববৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। শত কোটি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে কৃতিত্ব অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্মানস্বরূপ প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদকে ‘স্যার’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

এই ফজলে হাসান আবেদ শতকোটি মানুষকে চোখের জলে ভাসিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শনিবার তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় জনশূন্য বাড়ি অত্যন্ত নীরব-নিভৃত। শোকে স্তব্ধ চারপাশ। বাড়ির সামনে এলাকাবাসী অশ্রুসিক্ত নয়নে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা জানেন প্রিয় স্যার ফজলে হাসান আবেদকে শেষ দেখা দেখতে পারবেন না তারা।

তার পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, স্যার ফজলে হাসান আবেদ অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারতেন না। মুক্তিযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশ দেখে তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। কোনো উপায় না পেয়ে ১৯৭২ সালে লন্ডনের প্লটটি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠা করেন ব্র্যাক। নিজ জন্মভূমি বানিয়াচংয়ে মানুষের জন্য ঘর তৈরি, কিছু খাবার ও জেলেদের জন্য মাছ ধরার জাল দিয়ে সহযোগিতা শুরু করেন। পরবর্তীতে এর বিস্তর শুধু নিজ জন্মভূমিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এখন দেশ-বিদেশের শত কোটি মানুষের ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে ব্র্যাক।

দেশ-বিদেশ জয় করার পর ফজলে হাসান আবেদ নিজ জন্মভূমির জন্য আলাদা কিছু করতে চেয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি নাজমুল হাসান জাহেদ নামের একটি একাডেমির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। যেটিকে তিনি এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

স্যার ফজলে হাসান আবেদের ভাই কামরুল হাসান ও ভাতিজা তাওহিদ হাসান বলেন- ‘দেশ বিদেশের মানুষের জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। শেষ সময়ে এসে জন্মভূমির জন্য তিনি আলাদাভাবে কিছু করতে চেয়েছিলেন। তিনি নাজমুল হাসান জাহেদ নামে একটি একাডেমির উন্নয়ন কাজ দেখার জন্য গত মাসে এলাকায় এসেছিলেন।’

তারা জানান- বানিয়াচংয়ে একটি চক্ষু হাসপাতাল করতে চেয়েছিলেন তিনি। যেখানে বিনামূল্যে চোখের লেন্স প্রদানের পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু সেই আশা পূরণ হওয়ার আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মী শেখ গিয়াস উদ্দিন বলেন- ‘উনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের কথা বিবেচনা করে তিনি ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাইতেন।’

তিনি বলেন- লন্ডনে বিশাল বাড়ি বিক্রি করে তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। অথচ তিনি নিজে থেকেছেন ছোট একটি ঘরে। এমন মানুষ পৃথিবীতে পাওয়া দায়।’

ফজলে হাসান আবেদের প্রতিবেশী ডা. শফিকুর রহমান ঠাকুর বলেন- ‘আমরা এলাকাবাসী ওনাকে নিয়ে গর্ব করি। তিনি আমাদের নিয়ে সব সময় চিন্তা করতেন। কিন্তু আজ তিনি আমাদের মধ্যে নেই। তিনি এলাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য অনেক পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু জানি না এখন আর সেটি হবে কি না।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;