পানি শূন্য গড়াই!

  • সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পানি নেই গড়াই নদীতে, ছবি: বার্তা২৪.কম

পানি নেই গড়াই নদীতে, ছবি: বার্তা২৪.কম

শীত মৌসুমেই পানি শূন্য রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদী। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় গড়াই নদীর বুকে এখন জেগে উঠেছে বড় বড় চর। ফলে এ অঞ্চলের জীব-বৈচিত্র্য ও কৃষি অর্থনীতিতে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত। ব্যাপক প্রভাব পড়ছে মৎস্য ও কৃষিখাতে।

নদীতে পানি না থাকায় সেচের অভাবে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে হিমসিম খাচ্ছে। আর জেলে সম্প্রদায় তাদের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে ভিড়ছে অন্য পেশায়। এদিকে নদীতে পানি না থাকার কারণ হিসেবে ফারাক্কার বাঁধ ও আন্তর্জাতিক পানি বণ্টন নীতিমালা না মানাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফারাক্কার হিংস্র ছোবলের কারণেই আজ নদীর এই করুণদশা বলে অভিযোগ তাদের।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) নারুয়া খেয়াঘাটে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃত নদীর বুকে পানির বদলে খাঁ-খাঁ করছে বড় বড় চর। মাঝে মাঝে কিছুটা পানির ক্ষীণ স্রোতধারা রয়েছে।

মাগুরার শ্রীপুরের দূর্গাপূর গ্রামের বাসিন্দা দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আকতারুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত কয়েক বছর হলো নদীতে পানিই থাকছে না। বছরে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মাস নদীতে পানি থাকে। এবছর গ্রীষ্ম মৌসুম শুরুর আগেই শীত মৌসুমেই পানি শুকিয়ে নদী চৌচির হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দা অমরেশ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'নদী থেকে আমরা প্রতি বছর পানি নিয়ে বিভিন্ন ফসলে সেচ দেই। কিন্তু এবার আগেই নদীর পানি শুকিয়ে গেছে।

নারুয়ার গাড়াকোলা গ্রামের বাসিন্দা পিকুল দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমরা অনেকেই এই নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু কয়েক বছর হলো নদীতে পানিই থাকছেনা। যার কারণে এখন আমরা বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছি।'

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে প্রভাব পড়ছে গড়াই নদীর ওপর। তাছাড়া যদি আন্তর্জাতিক পানি বণ্টন নীতিমালার সঠিক প্রয়োগ হতো তাহলে শুধু গড়াই না অনেক মৃত নদীই আবার প্রাণ ফিরে পেত।