ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই যখন ভরসা

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই সেতুটি পার হচ্ছেন এক নারী/ ছবি: বার্তা২৪.কম

দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই সেতুটি পার হচ্ছেন এক নারী/ ছবি: বার্তা২৪.কম

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১০ গ্রামের প্রায় ১১ হাজার মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা কালিরবাজার সংলগ্ন মানস খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো। ১৯৮৮ সালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমে এ বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়।

বেশ কয়েক বছর আগে সাঁকোটি নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উপায় না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এই সাঁকো দিয়ে খাল পার হচ্ছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীও রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় লোকজন জানান, এ গ্রামে যাতায়াতের ভালো কোনো রাস্তা নেই। সাঁকোটি দিয়ে গিদারী
ও ঘাগোয়া ইউনিয়নের প্রধানের বাজার, সোনালেরভিটা, খলিসার পডল, বারটিকবী, খরিয়ার চর, ঝাকুয়ারপাড়া, বালিয়ার ছড়া, রহমান নগরসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।

বালিয়ার ছড়ার বাসিন্দা মিঠু মিয়া বলেন, মানস খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমরা বহুবার বলেছি। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু নির্মাণের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমনকি সাঁকোটির সংস্কারও করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইদু বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ মোল্লা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাঁকোর স্থলে ৪৫ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।