নরসিংদীর বিষমুক্ত উস্তা যাচ্ছে ঢাকার বাজারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
সন্তানদের নিয়ে গাছ থেকে উস্তা তুলছেন এক নারী কৃষক/ছবি: বার্তা২৪.কম

সন্তানদের নিয়ে গাছ থেকে উস্তা তুলছেন এক নারী কৃষক/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদী সদর উপজেলার বৃহত্তর চরাঞ্চল আলোকবালিতে উৎপাদিত বিষমুক্ত উস্তা যাচ্ছে ঢাকার বাজারে। শুধুমাত্র নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালিতেই প্রায় সাড়ে ৫০০ বিঘা জমিতে অন্যান্য বছরের মতো চাষ করা হয়েছে বিষমুক্ত উস্তা। ফলে এসব উৎপাদিত উস্তা স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ার কারণে বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

আর বিষমুক্তভাবে উৎপাদন করতে খরচ কম ও বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় লাভবান কৃষকরা। তবে এবার ফলন ভালো হলেও সম্প্রতি শীতের তীব্রতা ও রোদের আলো না পাওয়ায় ফলনে ব্যাঘাত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

নরসিংদীর আলোকবালি চরে উস্তা চাষ

সদর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে ঢলের পানির সাথে পলি এসে জমা হওয়ায় চরাঞ্চলের উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটি চরে রূপান্তরিত হয়। আর এই চরেই উস্তা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ফলে উস্তার উৎপাদন সাধারণ এলাকার তুলনায় অনেক বেশি হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে উৎপাদিত বিষমুক্ত এসব উস্তা চাষে আগে অনভিজ্ঞতার কারণে প্রয়োগ করা হত কীটনাশক। এরফলে কৃষকের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি উৎপাদনে বাড়তি খরচ হত। অপরদিকে বিষমুক্ত উস্তা হাতের নাগালে পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন হয়ে পরত। সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে নিরাপদ সবজি চাষের আওতায় বিষমুক্ত উস্তা চাষের উদ্যোগ নেন নরসিংদী কৃষি বিভাগ। চলতি বছর জেলার ৬টি উপজেলায় ১১৭ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত পদ্ধতিতে উস্তা চাষ করা হয়েছে বলে জানায় নরসিংদী কৃষি বিভাগ।

কীটনাশক ছাড়া উস্তা চাষে ফলনও বেশি হয়

নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাই জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালিতে বিষমুক্ত পদ্ধতিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ বিঘা জমিতে উস্তা চাষ করেছেন প্রায় ৩২৫ জন কৃষক। উস্তা খেতে ক্ষতিকর পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার না করে ফেরোমিন ফাঁদ ও ইয়েলো ফাঁদসহ পোকা দমন করার সময়োপযোগী পদ্ধতি। এসব পদ্ধতির ফলে ক্ষতিকর পোকা খুব সহজেই দমন হওয়ায় কৃষককে বাড়তি খরচ করে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। ফলে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত উস্তা। একদিকে কীটনাশকের অপচয় রোধ ও অপরদিকে উৎপাদিত উস্তা স্বাস্থ্যসম্মতও। পাওয়া যাচ্ছে ন্যায্যমূল্যে।

চরাঞ্চল বাখরনগর গ্রামের উস্তাচাষী হোসেন মিয়া জানান, স্থানীয় বাজারসহ ঢাকার বাজারে বিষমুক্ত পদ্ধতিতে চাষ করা উস্তার চাহিদা বেশি হওয়ায় দামও বেশি পাওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়না। এরফলে উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়।

উস্তার ব্যাপক ফলন হওয়ায় খুশি চরাঞ্চলের চাষিরা

নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: জুলফিকার আলী জানান, বিষমুক্ত উস্তা চাষের আওতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ পোকা দমনে কৃষকদের ইয়োলো ফাঁদ, ফেরোমিন ফাঁদসহ অন্যান্য পরামর্শ দেয়ার পর কৃষকরা আগের থেকে সচেতন হয়েছেন। প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে সফল হওয়ায় এখন অন্যান্য সবজি চাষেও কীটনাশক ছাড়াই উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কর্মকর্তা শোভন কুমার ধর জানান, বিগত বছর গুলোর তুলনায় এ বছর উস্তার দাম ও চাহিদা বেশি হওয়ায় এই এলাকার উস্তা চাষিরা খুবই খুশি ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও রোধের আলো কম পাওয়ায় উৎপাদন কিছু কমে গেছে। এতে কৃষকরা সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তবে শীত কাটিয়ে রোদ শুরু হলেই এই সমস্যা কেটে যাবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;