উপনির্বাচন: গাইবান্ধায় আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়ছে
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে বাড়ছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা। এ নিয়ে হাইকমান্ডে দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।
জানা গেছে, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী দুই উপজেলা নিয়ে গাইবান্ধা-৩ আসনটি। সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১১টি ও পলাশবাড়ী উপজেলা ৯টি ইউনিয়নসহ সর্বমোট ২০টি ইউনিয়ন রয়েছে এ আসনে। ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষাধিক। এর আগে অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার। সম্প্রতি তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। যার ফলে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ আসনে।
এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকারের ছেলে ডা. ফয়সাল ইউনুস, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খাঁন বিপ্লব, আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মাহমুদুল হক, সামিকুল ইসলাম লিপন, ডা. শাহ মো. ইয়াকুব উল আজাদ, মাজেদার রহমান দুলু, খন্দকার তামান্না শারমিন, এসএম রহমান, আজিজার রহমান ও রেহেনা বেগম। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আরও বেশ কিছু নেতার নাম শোনা যাচ্ছে।
বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন তারা। প্রত্যেকেই দলের ও নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে পোস্টার-ফেস্টুনের মাধ্যমে। কেউ হাল ছাড়তে নারাজ।
এদিকে, মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেকে জাহির করতে বিভিন্ন রঙিন পোস্টার সাঁটিয়েছেন নির্বাচনী এলাকায়। আবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও প্রচারের ঝড় তুলছেন সমর্থকরা।
অপরদিকে, প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে নানান আলোচনা। গ্রাম-গঞ্জ ও হাট-বাজারগুলোতে বইছে নির্বাচনী আমেজ। প্রতিটি নির্বাচনের মতোই এবারও ভোটাররা পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করছেন।
অনেকেই মন্তব্য করেন- যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী, তারা মনোনয়ন না পেলে হয়তো দলের স্বার্থে কয়েক দিন নির্বাচনের মাঠে কাজ করার পরে খুঁজে পাওয়া যাবে না তাদের। তাই আমরা চাই যোগ্যতাসম্পন্ন তৃনমূলের দলীয় কাণ্ডারিকেই এবার মনোনয়ন দেওয়া হোক।
সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দা মোখলেছার রহমান বলেন, যেকোনো দলের প্রার্থী হোক না। এবারে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেব।
পলাশবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, চাই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। এমন উন্নয়নে যিনি কাজ করে যাবেন, তেমন প্রার্থীকে ভোট দেব।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার মাহাবুবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই আসনটির উপ-নির্বাচন বিষয়ে এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। তবে নিয়ম অনুযায়ী সঠিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মারা যান। পরে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। নিয়ম অনুযায়ী শূন্য ঘোষণা হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।